করোনাভাইরাসের ওষুধ পেয়ে গেছেন থাই চিকিৎসকরা!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:৩৮ এএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস চিকিৎসার ওষুধ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে থাইল্যান্ড। বেশ কিছু ভাইরাসনিরোধী (অ্যান্টিভাইরাল) ওষুধের সংমিশ্রণ ব্যবহার করে তারা করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক রোগীকে সুস্থ করে তুলেছে বলে জানিয়েছে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
রোববার থাই স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি বলছে, ৭১ বছর বয়সী করোনাভাইরাস আক্রান্ত এক চীনা নারীকে ইনফ্লুয়েঞ্জা ও এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টিভাইরাল ওষুধের মিশ্রণ দেয়ার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই চমকপ্রদ সাফল্য দেখা গেছে।
ডা. ক্রিয়েংসাক আত্তিপর্নানিচ সাংবাদিকদের বলেন, আমি খুবই গুরুতর অবস্থার এক রোগীর চিকিৎসা করেছি এবং ফলাফল খুবই সন্তোষজনক। মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রোগীর অবস্থার উন্নতি হয়েছে। পুরোপুরি বিধ্বস্ত অবস্থায় থাকা রোগী উঠে বসেছে মাত্র ১২ ঘণ্টা পরেই। করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার ল্যাব রেজাল্টও ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পজিটিভ থেকে নেগেটিভ হয়ে গেছে।
এই চিকিৎসক জানান, তারা ওই রোগীর চিকিৎসায় অ্যান্টি-ফ্লু ওষুধ ওসেলটামিভির এবং এইচআইভির চিকিৎসায় ব্যবহৃত লোপিনাভির ও রিটোনাভিরের মিশ্রণ ব্যবহার করেছেন। এই পদ্ধতি আরও ব্যবহার করা হবে কি না তা জানতে দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের গবেষেণা প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, বেইজিংয়ের হাসপাতালগুলোতেও করোনাভাইরাস আক্রান্তদের চিকিৎসায় এইচআইভির ওষুধ ব্যবহারের খবর এসেছে। যদিও তারা সফল হয়েছিলেন কি না তা এখনো নিশ্চিত নয়।
রোববার পর্যন্ত চীনের প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মারা গেছেন অন্তত ৩৬১ জন। গতকাল মারা যাওয়া ৫৭ জনের মধ্যে একজন বাদে সবাই ভাইরাসের উৎসস্থল হুবেই প্রদেশের। সেখানে এ পর্যন্ত মারা গেছেন অন্তত সাড়ে তিনশ’ জন।
চীনে নতুন করে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৮২৯ জন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ২০৫ জন। এছাড়া রোববার পর্যন্ত উহানে আরও ১ হাজার ৩৩ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছেন। উহান থেকে মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরবর্তী হুয়াগং শহরেও বেড়েছে মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা। সেখানে নতুন করে ২৪৪ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে অন্তত দুইজন।
চীন ছাড়া বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোতে নতুন করে ১৭১ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র: সিএনএন, রয়টার্স।
কেএএ/পিআর