করোনাভাইরাস : দাতাদের স্বাস্থ্য সামগ্রীর ওপর শুল্ক বাতিল করল চীন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৪৯ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও বিস্তার ঠেকাতে বিদেশি দাতাদের পাঠানো স্বাস্থ্য সামগ্রীর ওপর আমদানি শুল্ক বাতিল করেছে চীন। আগামী মার্চ পর্যন্ত দাতাদের পাঠানো এসব সামগ্রী আমদানি শুল্কমুক্ত থাকবে বলে শনিবার দেশটির সাধারণ শুল্ক প্রশাসন (জিএসি) ঘোষণা দিয়েছে।
এক বিবৃতিতে জিএসি বলছে, মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণকে সহায়তা করার জন্য আগামী ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত অনুকূল আমদানি শুল্ক কর নীতি প্রয়োগ করা হবে।
ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দাতব্য সহায়তা হিসেবে বিদেশিদের পাঠোনো প্রতিরোধক বস্তু, জীবাণুনাশক উপকরণ, সুরক্ষামূলক সরঞ্জাম, অ্যাম্বুলেন্স, মহামারি-বিরোধী ও জীবাণুমুক্ত যানবাহন এবং পণ্য-সামগ্রীর ওপর থেকে আমদানি শুল্ক প্রত্যাহার করেছে সরকার।
দেশীয় সরকারি বিভিন্ন সংস্থার শাখা, কোম্পানি, সামাজিক সংস্থা, চীনা নাগরিক এবং চীনে বসবাসরত বিদেশি নাগরিকরা বিশেষ শুল্কের আওতায় বাইরে থেকে আমদানিকৃত মহামারি প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ পণ্য-সামগ্রীর ওপর এই শুল্ক ছাড় সুবিধা পাবেন।
স্পষ্ট প্রাপক ছাড়া বিদেশিদের পাঠানো সহায়তা রেড ক্রস স্যোসাইটি অব চায়না, অল-চায়না উইমেন’স ফেডারেশন, চায়না ডিজঅ্যাবলড পারসন’স ফেডারেশন, চায়না চ্যারিটি ফেডারেশন, চায়না প্রাইমারি হেলথ কেয়ার ফাউন্ডেশন, চায়না সুং চিং লিং ফাউন্ডেশন ও ক্যান্সার ফাউন্ডেশন অব চায়না গ্রহণ করবে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। চীনে মাহামারি আকার ধারণ করা এই ভাইরাসে সেই থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৪ হাজার ৫৫১ জন।
চীনের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের ২৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১৩০ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চীনের বাইরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ফিলিপাইনে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ৪৪ বছর বয়সী চীনা এক নাগরিক ফিলিপাইনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে চীন থেকে নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ফিনল্যান্ড-সহ এশিয়া, ইউরোপ এবং আমেরিকার আরও কিছু দেশের বিমান সংস্থা চীনে বিমান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে।
সূত্র : চায়না ডেইলি, রয়টার্স।
এসআইএস/এমএস