ভারতে করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় রোগী শনাক্ত
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১২:৩৮ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২০
চীনের উহান থেকে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দ্বিতীয় রোগী শনাক্ত করা হয়েছে ভারতে। রোববার দেশটির সরকারি এক বিবৃতিতে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত দ্বিতীয় ওই ব্যক্তিকে দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালা প্রদেশে শনাক্ত করার তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, গত বৃহস্পতিবার একই প্রদেশে নভেল করোনাভাইরাসের পরীক্ষায় প্রথমবারের মতো ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায় এক শিক্ষার্থীর শরীরে।
সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কেরালায় নভেল করোনাভাইরাসে দ্বিতীয় রোগী পাওয়া গেছে। সম্প্রতি চীন সফর শেষে দেশে ফিরে আসার তথ্য রয়েছে এই রোগীর। পরীক্ষায় তার শরীরে করোনাভাইরাসের আলামত পাওয়া গেছে। বর্তমানে তাকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। ওই ব্যক্তির অবস্থা স্থিতিশীল এবং তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ রাখা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় কেরালায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত প্রথম রোগী পাওয়া যায়। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্ত ওই রোগী চীনের উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। তাকেও কেরালার একটি হাসপাতালে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহানে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। চীনে মাহামারি আকার ধারণ করা এই ভাইরাসে সেই থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩০৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশটিতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও কমপক্ষে ১৪ হাজার ৫৫১ জন।
চীনের গণ্ডি পেরিয়ে বিশ্বের ২৭টি দেশে ছড়িয়ে পড়া এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত ১৩০ জন রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। চীনের বাইরে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে ফিলিপাইনে। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ৪৪ বছর বয়সী চীনা এক নাগরিক ফিলিপাইনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ২৫ জানুয়ারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি।
মহামারির আশঙ্কায় বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ ইতোমধ্যে চীন থেকে নিজ নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। ভারত দ্বিতীয় ধাপে করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র উহান থেকে ৩২৩ জনকে ফিরিয়ে এনেছে।রোববার সকালে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইট দিল্লিতে অবতরণ করে। এর আগে শনিবার এয়ার ইন্ডিয়ার অপর একটি বিমানে করে উহান শহরে আটকে পড়া ৩২৪ ভারতীয়কে ফিরিয়ে আনা হয়।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/জেআইএম