করোনাভাইরাস সারবে গোমূত্র-গোবরে : হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেন্ট

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২০

চীনের করোনাভাইরাস গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। গত বৃহস্পতিবার ভারতেও প্রথমবারের মতো এই ভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগীকে শনাক্ত করা হয়। এরইমধ্যে ভাইরাসের প্রতিষেধক হিসেবে উদ্ভট এক ওষুধের ফর্মূলা দিয়েছেন হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেছেন, গোমূত্র আর গোবরেই সুস্থ হবেন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী।

ইন্ডিয়া টিভির অনলাইন প্রতিবেদন অনুযায়ী ভারতের হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেন্ট স্বামী চক্রপাণি মহারাজ শুক্রবার বলেছেন, করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য গোমূত্র ও গোবর ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি আরও বলেন, ‘করোনাভাইরাসকে চিরতরে শেষ করে দিতে এবং বিশ্বে এর বিস্তারের অবসানে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।’

হিন্দু মহাসভার প্রেসিডেন্ট চক্রপাণির কথায়, ‘গোমূত্র ও গোবর ব্যবহার করলেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ, বিস্তার বন্ধ করা সম্ভব। কোনো মানুষ যদি ‘ওম নম শিবা’ বলে তার শরীরে গোবর মাখে তাহলে সে এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবে। করোনাভাইরাস মেরে ফেলতে শিগগিরই বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন করা হবে।

চীনের উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়া সার্স গোত্রীয় এই করোনাভাইরাস বিশ্বের অন্তত ২০টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার পর্যন্ত পাওয়া হিসাবে এই ভাইরাসে মারা গেছে ২৫৯ জন আর আক্রান্ত হয়েছেন আরও ১১ হাজার। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবকে বৈশ্বিক জরুরি অবস্থা হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

শনিবার বিশেষ বিমানে করোনাভাইরাসের উপত্তিস্থল চীনের উহান শহরে আটকে পড়া ৩২৪ ভারতীয়কে দেশে ফিরিয়ে এনেছে ভারত। চীন থেকে আজ আরও একটি বিমানে শতাধিক ভারতীয় নাগরিকের দেশে ফিরিয়ে আনার কথা রয়েছে। গোটা বিশ্বের বিজ্ঞানীরা এই রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কারে মরিয়া হলেও এখনো কেউ সফল হননি।

ভাইরাসটির ব্যাপকতা এতটাই বিস্তার লাভ করেছে যে ভয়াবহতার দিক থেকে এটি ১৭ বছর আগে চীনে ছড়িয়ে পড়া সার্স ভাইরাসকেও ছাড়িয়ে গেছে। প্রতিষেধক তৈরির উদ্দেশ্যে বিজ্ঞানীরা অপেক্ষাকৃত নতুন ধরনের ডিএনএ প্রযুক্তি ব্যবহার করেও ফল পাচ্ছেন না। আর এরমধ্যে ভারতের কট্টর হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সভাপতি এমন মন্তব্য করলেন।

এসএ/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।