করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে মিথ্যা বলছে চীন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৯ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২০
চীনের ভুতুড়ে নগরীর ফাঁকা রাস্তায় মৃত মানুষ পড়ে আছে

মহামারি করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা নিয়ে চীন সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে যে হিসাব দিয়েছে প্রকৃতপক্ষে ওই ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি বলে মনে করা হচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, হাসপাতালে মৃতের কোনো রেকর্ড না রেখেই তড়িঘড়ি করে মরদেহগুলো সৎকার করার কাজ করছে চীন।

ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলের প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনের উহান শহরে মরদেহ সৎকারের সঙ্গে জড়িত শ্রমিকরা বলছেন, হাসপাতাল থেকে তাদের কাছে সৎকারের জন্য যে মরদেহগুলো পাঠানো হচ্ছে তার বেশিরভাগের কোনো রেকর্ড রাখছে না হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। প্রসঙ্গত, উহান থেকেই প্রাণঘাতী এই ভাইরাসটি বিশ্বে বিস্তার লাভ করেছে।

বিবিসি ও গার্ডিয়ান চীনা কর্তৃপক্ষের বরাতে শুক্রবারের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ২১৩ জন। এছাড়া এতে আরও অন্তত ৯ হাজার ৬৯২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। চীনের বিরুদ্ধে অভিযোগ, সংখ্যাটা অনেক কম দেখানো হচ্ছে। মৃত ও আক্রান্তের সংখ্যা ধামাচাপা দিয়ে মানুষকে ভুল তথ্য দিচ্ছে চীন।

জার্মান সংবাদমাধ্যম ডয়েচেভেলের পূর্ব এশিয়া প্রতিনিধি উইলিয়াম ইয়াং ব্রিটিশ দৈনিক দ্য সানকে বলেছেন, ভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা নিয়ে চীন গোটা বিশ্বকে যে তথ্য দিয়ে আসছে তা নিয়ে সন্দিহান হওয়ার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তারা এ নিয়ে অসম্পূর্ণ তথ্য দিচ্ছে, যার বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে।

China

তিনি বলেন, হংকংভিত্তিক নিউজ আউটলেট ইনিশিয়াম মূল ভূখণ্ড চীনের শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তারা বলেছেন, ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে যারা মারা যাচ্ছেন তাদের কারও পরিচয় ভালোভাবে শনাক্ত না করেই সৎকারের জন্য নির্ধারিত স্থানে হাসপাতাল থেকে মরদেহগুলো পাঠানো হচ্ছে।

উইলিয়াম ইয়াং বলছেন, ‘এর মানে দাঁড়াচ্ছে ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে রোগীরা মারা যাচ্ছে কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সরকারি তালিকায় তাদের নাম উঠাচ্ছে না। আর এর মাধ্যমে চীন প্রকৃতপক্ষে ভাইরাসটিতে মৃত ও আক্রান্তের বিষয়টি এবং এর সংখ্যা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে।’

এসএ/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।