শতাধিক আরোহী নিয়ে চীন ছাড়ল ব্রিটিশ বিমান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০২:১২ পিএম, ৩১ জানুয়ারি ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন দেশ তাদের নাগরিকদের চীন থেকে ফিরিয়ে নিচ্ছে। এর মধ্যেই শতাধিক আরোহী নিয়ে ব্রিটেনের একটি বিমান চীনের উহান শহর থেকে যাত্রা করেছে। ওই বিমানটিতে ৮৩ জন ব্রিটেনের নাগরিক এবং আরও ২৭ জন বিদেশি নাগরিক। ব্রিটিশ সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

শুক্রবার একটি যাত্রীবাহী বিমানে করে উহান থেকে লোকজনকে সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে ব্রিটেন। চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের প্রকোপ দেখা দেয়। প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে চীনের মূল ভূখণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে। এছাড়া এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

হুবেই প্রদেশের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যার ফলে ভাইরাসটির কেন্দ্রস্থল উহান শহরে মৃতের সংখ্যা ২০৪ জনে দাঁড়িয়েছে। গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ২০টির মতো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই প্রাণঘাতী ভাইরাস।

এ পর্যন্ত চীন, থাইল্যান্ড, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, ভিয়েতনাম, হংকং, সিঙ্গাপুর, ভারত, মালয়েশিয়া, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, জার্মানি, কম্বোডিয়া, শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং তাইওয়ানে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ইসরায়েলেও এক রোগীর শরীরে করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সময় শুক্রবার সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে বেসামরিক বিমানটি উহান ছেড়ে। এটি দুপুর ১টার দিকে ব্রিটেনে পৌঁছাবে।

ব্রিটেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোমিনিক রাব বলেন, এই মুহূর্তে যারা দেশে ফেরার অপেক্ষায় আছেন আমরা জানি তাদের ওপর কি পরিস্থিতি বিরাজ করছে। তাদের নিরাপদভাবে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

বৃহস্পতিবার সকালেই একটি বিমানটি ছাড়ার কথা থাকলেও চীনা কর্মকর্তাদের কারণে তা সম্ভব হয়নি। ওই বিমানে ১৫০ জন ব্রিটিশ নাগরিক এবং আরও ৫০ জন অন্য দেশের নাগরিকের ফেরার কথা ছিল। কী কারণে চীনা কর্মকর্তারা ওই বিমানটিকে সেদিন যাত্রা করতে দেয়নি বা আরোহীর সংখ্যা কেন কমে গেছে সে বিষয়টি পরিষ্কার নয়।

করোনাভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী?
এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে।

সেক্ষেত্রে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানা। তবে নতুন এই করোনাভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ থেকে এটি মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে।

টিটিএন/এমএস

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।