করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক-চিকিৎসায় ১.৪ কোটি ডলার দান জ্যাক মার

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:২২ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২০

বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। মূলত চীনে প্রাদুর্ভাব ঘটলেও এখন প্রায় ১৯টি দেশে এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭০ জনে। মাত্র একদিনেই মারা গেছে ৩৮ জন। এর মধ্যে শুধু উহান শহরেই অসুস্থ হয়ে মারা গেছে ১৬২ জন এবং আক্রান্ত হয়েছে অন্তত সাড়ে চার হাজার। চীনের সরকারি হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে ৭ হাজার ৭শ ১১ জন।

সারাবিশ্বে ছড়িয়ে পড়লেও চীনে এই ভাইরাসের প্রকোপ সবচেয়ে বেশি। এদিকে করোনাভাইরাসের প্রতিষেধকের কাজ এগিয়ে নিতে এবং এর চিকিৎসা ও প্রতিরোধমূলক বিভিন্ন কার্যক্রমের জন্য এক কোটি ৪০ লাখ ডলার দান করেছেন বিশ্বের বৃহত্তম ই-কমার্স সাইট অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মা।

নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, জ্যাক মার দাতব্য সংস্থার মাধ্যমে এই বিপুল অর্থ দান করা হচ্ছে। এর মধ্যে চীনা সরকারের দু'টি গবেষণা সংস্থাকে ৫৮ লাখ ডলার দান করা হবে। বাকি অর্থ এই ভাইরাস প্রতিরোধ ও চিকিৎসা কার্যক্রমে দান করা হবে।

এদিকে, ওষুধ ও প্রসাধনী প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান জনসন অ্যান্ড জনসন দাবি করেছে যে, তারা এই রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার করতে সক্ষম হবে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সিএনবিসিকে বলেছেন, আমাদের কয়েক ডজন বিজ্ঞানী এ বিষয়ে কাজ করছে। তাই আমরা এ বিষয়ে অনেকটাই আশাবাদী যে, আমরা কিছু তৈরি করতে পারব যা কাজ করবে এবং দীর্ঘ মেয়াদে সক্রিয় থাকবে।

করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ কী?

এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে শুরুতে জ্বর ও শুষ্ক কাশি হতে পারে। এর সপ্তাহখানেক পর শ্বাসকষ্টও দেখা দেয়। অনেক সময় নিউমোনিয়াও হতে পারে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ হওয়ায় তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা লাগে। তবে এসব লক্ষণ মূলত রোগীরা হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরই জানা গেছে।

সেক্ষেত্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার একদম প্রাথমিক লক্ষণ কী বা আদৌ তা বোঝা যায় কি-না তা এখনও অজানা। তবে নতুন এই করোনাভাইরাস যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাধারণ ঠান্ডা-জ্বরের লক্ষণ থেকে এটি মৃত্যুর দুয়ার পর্যন্তও নিয়ে যেতে পারে।

এই ভাইরাস বিপজ্জনক হয়ে উঠছে কারণ এ বিষয়ে এখনও ভালোভাবে জানা সম্ভব হয়নি। বিশেষ করে এ ভাইরাস কতটা বিপজ্জনক এবং এটা একজন থেকে আরেকজনের শরীরে কীভাবে ছড়িয়ে পড়ছে এ বিষয়গুলো এখনও পরিষ্কার নয়।

এখন পর্যন্ত এটা জানা সম্ভব হয়েছে যে, এ ভাইরাস থেকে নিউমোনিয়া হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই এটা অনেক ভয়াবহ হতে পারে। অপরদিকে, করোনাভাইরাস সংক্রমণের ক্ষমতা আরও প্রবল হচ্ছে এবং সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছে চীনের জাতীয় স্বাস্থ্য কমিশন।

টিটিএন/পিআর

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।