ক্যালিফোর্নিয়ায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ২, গোপনে চিকিৎসা
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ায় করোনাভাইরাসে ২ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে একজন লস অ্যাঞ্জেলসে ও অপরজন অরেঞ্জ কাউন্টিতে। দু’জনকে পৃথক দুটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যম থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
অরেঞ্জ কাউন্টির স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ নিকোল কুইক জানিয়েছেন, আক্রান্তদের চিকিৎসা চলছে। অরেঞ্জ কাউন্টিতে শনাক্ত রোগীর বয়স ৫০ বছর। রোগী ও হাসপাতালের নাম পরিচয় প্রকাশের ক্ষেত্রে বিশেষ গোপনীয়তা রক্ষা করছেন কর্তৃপক্ষ।
যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্র এবং ক্যালিফোর্নিয়া জনস্বাস্থ্য বিভাগ (ইউএস সেন্ট্রারস ফর ডিজিসেস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন এবং ক্যালিফোর্নিয়া ডিপার্টমেন্ট অব পাবলিক হেলথ) কর্তৃপক্ষ রোববার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, শনাক্তকৃত রোগীদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। তারা প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের প্রাণকেন্দ্র চীনের মধ্যাঞ্চলের উহান শহর ভ্রমণকারী ছিলেন।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, গত কয়েক দিনে দুই ডজনেরও বেশি সন্দেহভাজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে। তাদের কারো দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়নি।
বিবৃতিতে জানানো হয়, আক্রান্ত রোগীদের মাধ্যমে রোগটি বিস্তারের সুযোগ কম। এই মুহূর্তে জনগণের জন্য তাৎক্ষণিক হুমকি কিংবা জরুরি সতর্কতা নেই। লস অ্যাঞ্জেলেস কাউন্টির জনস্বাস্থ্যের পরিচালক বারবারা ফেরার বলেছেন, নিয়মিত হাত সাবান দিয়ে ধোঁয়া, অসুস্থ অবস্থায় ঘরের বাইরে না যাওয়া, চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া করোনাভাইরাস সকল সংক্রামক ব্যাধি রোধে সহায়ক।
ইউ এস সেন্ট্রারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনসন আটলান্টা (সিডিসি), শিকাগো, নিউইয়র্ক সিটি, সান ফ্রান্সিসকো এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের পাঁচটি প্রধান বিমানবন্দরে উহান থেকে সরাসরি এবং সংযোগকারী ফ্লাইটের যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।
ইউ এস সেন্ট্রারস ফর ডিজিস কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসন (সিডিসি) এর তথ্য মতে, গত ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের চারটি রাজ্যের পাঁচটি শহরে একজন করে এ পর্যন্ত মোট পাঁচজন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এগুলো হচ্ছে ওয়াশিংটনের এভারেট, ইলিনয়েসের শিকাগো, এরিজোনার ম্যারিকোপা কাউন্টি এবং ক্যালিফোর্নিয়ার লস আঞ্জেলসে ও অরেঞ্জ কাউন্টিতে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চীনে মৃতের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তে বাড়তে তা পৌঁছেছে ১৭০ এ। দেশজুড়ে ভাইরাসে ৭ হাজার ৮৯৪ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত চীনে অবস্থানরত কোনো বাংলাদেশি আক্রান্ত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।
এমআরএম/জেআইএম