পুলিশের কাছেও নারীরা নিরাপদ নয় : ইনু


প্রকাশিত: ০২:০১ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০১৪

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশের কাছেও নারীরা নিরাপদ নয়, তাই তাদের নিয়োগের পরপরই জেন্ডার সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। মঙ্গলবার রাজধানীর স্পেক্ট্রা কনভেনশন সেন্টারে অ্যাকশনএইড পরিচালিত জরিপের ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, পুলিশের কাছেও নারী নিরাপদ নয়। তাই নিয়োগের পরপরই পুলিশকে জেন্ডার সংবেদনশীলতার প্রশিক্ষণ দিতে হবে। নারী নির্যাতনে পুলিশ সঠিকভাবে কাজ করে না, এটা অনেকাংশে ঠিক। পুলিশের বিশেষ প্রশিক্ষণ দরকার। রিক্রুটমেন্টের পরই তাদের জেন্ডার সংবেদনশীলতার ট্রেনিং দিতে হবে। কেন? ইয়াসমিনের ওপর পুলিশ নির্যাতন চালায়নি? তার মানে পুলিশের কাছেও আপনি নিরাপদ না।

রাতের বেলায় নারীরা যেন নিরাপদে চলাচল করতে পারেন, সে জন্য টহল পুলিশে নারীদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী।

অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের মেয়র সেলিনা হায়াৎ​ আইভীও পুলিশকে আন্তরিক হওয়ার আহবান জানিয়ে বলেছেন, থানার ওসিরা যেন আরও সচল হয়। ধর্ষণের শিকার নারীদের সহযোগিতা করুন, সম্মানের সঙ্গে কথা বলুন। ধর্ষক যে-ই হোক তাকে কঠিনভাবে দমন করুন।

ব্রিটেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন উপমন্ত্রী লিন ফেদারস্টোন বলেন, বাংলাদেশে ৪০ শতাংশ কিশোরী যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। এই হার অবিশ্বাস্য রকমের বেশি। যৌন হয়রানি বন্ধে নারী-পুরুষ সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

‘নিরাপদ নগরী নির্ভয়ে নারী’ শীর্ষক ওই গবেষণাটি ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও নারায়ণগঞ্জ শহরের মোট এক হাজার ২০০ নারী-পুরুষের ওপর পরিচালিত হয়। এর মধ্যে ৮০০ জন নারী ও কিশোরী, যাঁদের বয়স ১৫ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে এবং ৪০০ জন পুরুষ।

অ্যাকশনএইডের নিরাপদ নগর কর্মসূচির ভিত্তিমূলক জরিপে বলা হয়েছে, নারীরা নিজেদের চলাচলের জন্য শহরকে নিরাপদ মনে করেন না। ৮১ শতাংশ নারী পুলিশের সহায়তা নিতে ভয় পান। তাঁরা মনে করেন, পুলিশের সাহায্য চাইলে সমস্যা বাড়ে।

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।