অস্ট্রেলিয়ায় চীনা শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ায় কড়াকড়ি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১১:২৬ এএম, ২৮ জানুয়ারি ২০২০

করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে অস্ট্রেলিয়ায় অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীদের স্কুলে যাওয়ায় কড়াকড়ি আরোপ করেছে কর্তৃপক্ষ। দেশটির বেশ কিছু স্কুল চীনা শিক্ষার্থীদের অন্যদের থেকে আলাদা রাখার ঘোষণা দিয়েছে।

অন্তত ১৪ দিন নিয়মিত মেডিকেল চেকআপের মধ্যে দিয়ে যেতে হবে তাদের। আবার, চিকিৎসকের ছাড়পত্র না পাওয়া পর্যন্ত ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও নিষেধ করেছে অনেক স্কুল। বড়দিনের ছুটি শেষে চলতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীরা স্কুলে ফেরার মুহূর্তেই এমন নির্দেশনা জারি করল কর্তৃপক্ষ।

ব্রিসবেনের একটি বোর্ডিং স্কুল বেশ কয়েকজন অভিভাবককে জানিয়েছে, ১০ জন চীনা শিক্ষার্থীকে তাদের ক্লাসরুমে পাঠানোর আগে অন্তত দু'সপ্তাহ অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে আলাদা রাখা হবে। এছাড়া, প্রতিদিন তাদের মেডিকেল চেকআপ করানো হবে।

coronavirus

একই পদ্ধতি অনুসরণ করছে সিডনির স্কুলগুলোও। নিউয়িংটন কলেজ, দ্য স্কট কলেজ, কামবালা স্কুল কর্তৃপক্ষ অভিভাবকদের জানিয়েছে, যারা চীনে গিয়েছিলেন তাদের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে হলে চিকিৎসকের ছাড়পত্র লাগবে। এজন্য ক্লাস শুরুর আগেই তাদের হাসপাতাল-ক্লিনিকে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।

পিমবেল লেডিস কলেজ জানিয়েছে, যেসব শিক্ষার্থী ছুটি কাটাতে চীন ভ্রমণ করেছেন তারা যেন অন্তত ১৪ দিন বাড়িতেই থাকে। কেউ নিজে না গেলেও চীন ফেরত কারও সংস্পর্শে থাকলে তাদের জন্যও একই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এছাড়া, মেলবোর্নের ফিরব্যাংক গ্রামার স্কুল, স্কট কলেজ, সিডনির র‌্যাভেনসউড স্কুল, নক্স গ্রামার স্কুল ও সেন্ট অ্যালয়সিয়াস কলেজও চীন ফেরত শিক্ষার্থীদের ১৪ দিন বাড়িতে থাকতে বলেছে।

coronavirus

চিকিৎসকদের বক্তব্য
নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ড. কেরি চ্যান্ট বলেছেন, ১৪ দিন হচ্ছে এই রোগের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত উন্মেষপর্ব। এই সময়ের পর শিশুরা ঝুঁকিমুক্ত বলে ধরা যায়। তিনি বলেন, এই রোগের প্রধান লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। এছাড়া কাশি, গলার মধ্যে খুসখুস বা শ্বাসকষ্টও হতে পারে। কারও মধ্যে এই উপসর্গগুলো দেখা গেলে তাকে সঙ্গে সঙ্গে আলাদা রাখতে হবে এবং যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসা দিতে হবে।

অস্ট্রেলিয়ায় করোনাভাইরাস
দেশটিতে এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচজনের শরীরে প্রতিষেধকবিহীন এই ভাইরাস ধরা পড়েছে। গত শনিবার মেলবোর্নে এক চীনা নাগরিকের শরীরে এর উপস্থিতি ধরা পড়েছে। তিনি গত ১৯ জানুয়ারি চীনের গুয়াংঝু থেকে ফিরেছেন। একইদিনে নিউ সাউথ ওয়েলসে আরও তিনজনের শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। এরমধ্যে দু’জনকে সিডনির ওয়েস্টমেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পঞ্চম ব্যক্তি সিডনির। গত বৃহস্পতিবার ২১ বছর বয়সী ওই নারী উহান থেকে অস্ট্রেলিয়া ফিরেছিলেন।

সূত্র: দ্য ডেইলি মেইল

কেএএ/টিটিএন/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।