চীনের ভাইরাসে বিপদে পড়ছে সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২৬ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২০
চীনের করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবে চলতি বছর সিঙ্গাপুরের অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। চীনে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় সোমবার বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা দেয়ার পর এমন মন্তব্য করেছে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত সিঙ্গাপুর।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের মধ্যাঞ্চলের উহান শহরে প্রথমবারের মতো প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসে। এরপর এই ভাইরাস চীনের বিভিন্ন শহরের পাশাপাশি ইতোমধ্যে বিশ্বের এক ডজনের বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
সিঙ্গাপুর গত এক দশকের মধ্যে ২০১৯ সালে সর্বনিম্ন ০ দশমিক ৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। চীনে এখন পর্যন্ত ৮০ জনের প্রাণ কেড়ে নেয়া করোনাভাইরাস সিঙ্গাপুরেও পৌঁছেছে। দেশটিতে সোমবার পর্যন্ত চীন ফেরত চারজনের শরীরে এই ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে সিঙ্গাপুর।
সিঙ্গাপুরের বাণিজ্যমন্ত্রী চ্যান চুন সিং বলেছেন, আমরা অবশ্যই আশঙ্কা করছি যে, চলতি বছর আমাদের অর্থনীতি, ব্যবসা এবং ভোক্তার আত্মবিশ্বাসের ওপর এই করোনাভাইরাসের প্রভাব পড়বে। যেহেতু এই পরিস্থিতি আরও কিছুদিন অব্যাহত থাকবে।
তবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত খাত; যেমন পর্যটনের জন্য বিশেষ সহায়ক ব্যবস্থা নেয়ার কথা সরকার চিন্তা করছে বলে জানিয়েছেন তিনি। চ্যান চুন সিং বলেন, এর মধ্যে পর্যটক খাত সংশ্লিষ্টদের সম্পত্তি কর ও শ্রমিকদের শুল্ক হ্রাসের মতো পদক্ষেপ নেয়ার বিষয়টি বিবেচনাধীন রয়েছে।
২০০৩ সালে চীনে সিভিয়ার একিউট রেসপিরেটরি সিন্ড্রোমে (সার্স) ব্যাপক প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। এতে চীনে অন্তত ৭৭৪ জনের প্রাণহানি ঘটে, আক্রান্ত হয় ৮ হাজারের বেশি মানুষ। সিঙ্গাপুরে ব্যাপক সংখ্যক চীনা নাগরিক ঘুরতে আসায় সেই সময় এই দেশটিতেও সার্স ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।
চলতি বছর সিঙ্গাপুরের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ০ দশমিক ৫ থেকে আড়াই শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে সম্প্রতি দেশটির সরকার ঘোষণা দেয়। সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে গঠিত একটি সরকারি টার্সফোর্সকে সহায়তা করছে চীন।
সোমবার এই টাস্কফোর্সের সদস্যরা সিঙ্গাপুরে করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বেশ কিছু নতুন পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছেন। দেশটির সব স্কুল শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং চীন সফর থেকে ফেরা নাগরিকদের বাড়ি-ঘর থেকে আগামী ১৪ দিন বের না হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে টাস্কফোর্স।
সূত্র : রয়টার্স।
এসআইএস/পিআর