বেজোসের মোবাইল হ্যাকের দাবি হাস্যকর : সৌদি আরব
বিশ্বের শীর্ষ ধনী ও মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্টের মালিক জেফ বেজোসের ফোন যুবরাজ বিন সালমানের দ্বারা হ্যাকড হয়নি বলে দাবি করেছে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস। বুধবার ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ানে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা বেজোসের ফোন সৌদি যুবরাজ হ্যাকড করেছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশের পর এই বিবৃতি আসলো।
অজ্ঞাত দুটি সূত্রের বরাতে বুধবারের প্রতিবেদনে গার্ডিয়ান জানায়, হোয়াটসঅ্যাপে যুবরাজ সালমান ও বোজোসের মধ্যে আগে থেকেই বার্তা আদান-প্রদান হতো। ২০১৮ সালে যুবরাজ সালমানের পাঠানো এক ভিডিও বার্তা গ্রহণের পরপরই বেজোসের মুঠোফোন হ্যাকড হয়। যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস বলছে, এই গল্প হাস্যকর।
প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, এই ঘটনার সঙ্গে ২০১৮ সালের অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে অবস্থিত সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক জামাল খাশোগি হত্যার যোগসাজশ রয়েছে। কারণ অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস মার্কিন ওই প্রভাবশালী দৈনিকের মালিক।
হ্যাকিংয়ের পর বেজোসের মুঠোফোনটির ডিজিটাল ফরেনসিক পরীক্ষা করে জানা যায়, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে তার ফোনে যুবরাজ বিন সালমান একটি ভিডিও পাঠান। যা ছিল ভাইরাসযুক্ত। বেজোস ভিডিওটিতে ক্লিক করলে সৌদির গোয়েন্দারা বেজোসের ফোনের প্রবেশাধিকার নিয়ে সেখান তথ্য চুরি করে।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত সৌদি দূতাবাস টুইটারে দেয়া এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, যুবরাজ সালমান বেজোসের মুঠোফোন হ্যাক করেননি। আর এই হ্যাকিংয়ের ঘটনা নিয়ে প্রকাশিত প্রতিবেদন হাস্যকর। প্রকৃত সত্য উদঘাটনে এই ঘটনার তদন্ত করা হবে বলেও দূতাবাস কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে।
ফরেনসিক বিশ্লেষণ নিশ্চিত হওয়া গেছে যে, সালমানের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেই বেজোসকে বার্তাটি পাঠানো হয়েছিল। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কর্মকর্তা বলেন, ঘটনার কিছুক্ষণ পর বেজোসের ফোনটি হ্যাক করা হয়। তবে কি ধরনের তথ্য হাতিয়ে নেয়া হয়েছে বা সেগুলো কিভাবে ব্যবহার করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
এসএ/পিআর