শাহজালালে বিড়াল : চমকে উঠলেন বিমানমন্ত্রী
হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বছরজুড়ে যাত্রীর চাপ থাকলেও হজ মৌসুমে তা একটু বেশিই লক্ষ্য করা যায়। হজ পালনের উদ্দেশে সৌদি যাওয়া-আসাকে কেন্দ্র করে সরগরম থাকে পুরো বিমানবন্দর এলাকা। তবে বিমানবন্দর যতই সরগরম থাকুক না কেন সেখানে যেন যাত্রীদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অবস্থান করছে বিড়ালের দল। রোববার সরেজমিনে এমনটিই দেখতে পেয়েছেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
জানা গেছে, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের টার্মিনাল-১ এর কনভেয়র ভেল্ট হলের বাম পাশে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ডিপার্টমেন্ট। রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রায় হাজার খানেক হাজি তাদের লাগেজের জন্যে এ ডিপার্টমেন্টেই অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় বিমানমন্ত্রী আসেন অব্যবস্থাপনা পরিদর্শনে। মন্ত্রীকে পেয়ে লাগেজের হদিস না পাওয়াসহ বিভিন্ন অব্যবস্থাপনার অভিযোগ তুলে ধরেন হাজিরা। এসময় মন্ত্রী তার সঙ্গে থাকা সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে প্রবেশ করেন বিমানের লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ড ডিপার্টমেন্ট কক্ষে। মন্ত্রীর দল রুমে প্রবেশের ফলে বিশালাকৃতির কক্ষটিতে দৌড় শুরু করে একটি বন্য বিড়াল। যা দেখে বিমানমন্ত্রীর বুঝতে আর বাকি থাকে না যে এ ঘরে কারা সক্রিয় বিচরণ করে।
তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সেলিম বিষয়টি স্বীকার না করলেও যাত্রীদের লাগেজের উপরে বিড়ালগুলোর প্রাকৃতিক কাজ দেখে কারো বুঝতে বাকি রইল না যে এটি বিড়ালের স্বর্গরাজ্য। তাইতো এ দৃশ্য দেখে মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন চমকে উঠে বলেন, চমৎকার বিড়ালের স্বর্গরাজ্য।
২৪ ঘণ্টা সচল থাকা ওই রুমটির উপর দিকে তাকাতেই দেখা গেলো আরেক তাজ্জব হওয়া পরিস্থিতি। মাকড়শার জালে ঢেকে গেছে লস্ট অ্যান্ড ফাউন্ডের ছাদ। এই দৃশ্য দেখে বিমান মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী ধমকালেন শাখার দায়িত্বে থাকা জিএম আতিক সোবাহানকে। তবে সচিবের ধমকে কেউ কিছু বলেননি। সবাই যেন সেখানে বিচরণ করা বিড়ালগুলোর মতো শান্ত প্রাণির ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।
মন্ত্রী-সচিবের পরিদর্শন শেষে এয়ারপোর্ট সার্ভিসের জিএম আতিক সোবহান জাগো নিউজকে বলেন, রুমগুলো পরিষ্কারের দায়িত্ব সিভিল অ্যাভিয়েশনের। দীর্ঘদিন সিভিল অ্যাভিয়েশনের কোনো ক্লিনার রুমের উপরাংশ পরিষ্কার করেনি। তাই এ অবস্থা।
আরএম/একে/বিএ