গত বছর ১৮৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে সৌদি
গত বছর ১৮৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করেছে মধ্যপ্রাচ্যের কট্টরপন্থি দেশ সৌদি আরব। গত ছয় বছরে এই সংখ্যা সর্বোচ্চ। এদের মধ্যে তিনজনই কম বয়সী যারা গণতন্ত্রকামী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল।
এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সৌদি আরবে ২০১৯ সালে ১৮৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৬ বছর বয়সী এক কিশোরকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন করার পর শিরশ্ছেদ করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। ওই কিশোরের অপরাধ হচ্ছে সে হোয়াটসঅ্যাপে বিক্ষোভ নিয়ে বার্তা দিয়েছিল।
সন্ত্রাসবাদে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আব্দুল করিম আল হাওয়াজ নামে ২১ বছর বয়সী এক তরুণ এবং আরও ৩৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়। গত বছরের এপ্রিলের এক দিনেই এক সঙ্গে এসব লোকজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।
এদের মধ্যে একজনকে ক্রুশবিদ্ধ করে হত্যা করা হয় এবং তার মরদেহ অনেক সময় পর্যন্ত সেভাবেই রেখে দেওয়া হয়। এ ধরনের অপরাধ যেন অন্যরা না করতে পারে সেজন্য সতর্কতা হিসেবেই এমন ব্যবস্থা নেয় কর্তৃপক্ষ।
অপরদিকে ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরকে বিমানের ফ্লাইট থেকে আটক করা হয়। সে ওয়েস্টার্ন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছিল। এই অপরাধেই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক আইন ও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের বিধান অনুযায়ী, ১৮ বছরের নিচে কোনো ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া নিষিদ্ধ। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়াদের মধ্যে একজন ছিলেন সমকামী। এছাড়া আরও ৩৭ জন সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত থাকার অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
পরিসংখ্যান বলছে, মাদক পাচারের অভিযোগে ৮২ জন এবং খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ৫৭ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া ১৮৪ জনের মধ্যে ৮৮ জন সৌদির নাগরিক, ৯০ জন বিদেশি নাগরিক এবং বাকি ছয়জনের পরিচয় জানা যায়নি।
টিটিএন/এমএস