২য় দিনের মতো বিক্ষোভে উত্তাল ইরান
ইউক্রেনের একটি যাত্রীবাহী বিমান ভুলবশত গুলি করে ভূপাতিত করার ঘটনায় ইরানে দ্বিতীয় দিনের মতো বিক্ষোভ চলছে। এই ঘটনায় ইরানের সামরিক বাহিনী দায় স্বীকার করার পর দেশটির ক্ষমতাসীনদের পদত্যাগ দাবি করে রোববার বিক্ষোভ শুরু হয়। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
ওই যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় ১৭৬ জন আরোহী নিহত হন যাদের অধিকাংশই ইরানি নাগরিক। এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, নিহতদের মধ্যে ৮২ জন ইরানি, ৬৩ জন কানাডীয়, ১০ জন সুইডেনের, চারজন আফগানিস্তানের, তিনজন জার্মানির এবং তিনজন ব্রিটেনের নাগরিক। অপরদিকে নয় ক্রুসহ ১১ জন ইউক্রেনের নাগরিক এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে।
বিমান ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করে নেওয়ার পর থেকেই প্রচণ্ড চাপে আছে ইরানের ক্ষমতাসীন নেতারা। সর্বোচ্চ নেতাসহ শীর্ষ নেতাদের পদত্যাগের দাবিতে রাজধানী তেহরান ও বিভিন্ন শহরে স্লোগান দিচ্ছেন বিক্ষোভকারীরা।
বিভিন্ন স্থানে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। বিক্ষোভকারীদের হটাতে নিরাপত্তা বাহিনী টিয়ার গ্যাস ছুড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের তীব্র উত্তেজনা চলছে। ইরাকে ড্রোন হামলা চালিয়ে ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়।
জেনারেল সোলেইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে গত বুধবার ইরাকে মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান। এর কয়েক ঘণ্টা পরেই ইউক্রেনের যাত্রীবাহী বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। প্রথমদিকে ইরান ওই বিমানটি ভূপাতিত করার কথা অস্বীকার করলেও পরে গত শনিবার এর দায় স্বীকার করে নেয়।
ইরানে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন শহরে ব্যাপক আকারে নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কিছু ভিডিওতে দেখা গেছে বিক্ষোভকারীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। তাদের বলতে শোনা গেছে যে, তারা (ক্ষমতাসীনরা) আমাদের বলে যে আমাদের শত্রু আমেরিকা। কিন্তু আমাদের শত্রুতো এখানেই আছে। অনেক নারী এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।
টিটিএন/পিআর