চলে গেলেন অভিনেতা আদিল
চিত্রপুরীর প্রিয় মানুষগুলো ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছেন। চলচ্চিত্র সাংবাদিক আওলাদ হোসেনের মৃত্যুর ক্ষত না শুকাতেই এল আরেক প্রাণ বিয়োগের খবর। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা ৩০ মিনিটে নারায়ণগঞ্জের নিজ বাসায় ইন্তিকাল করেছেন চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা আদিল। (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)।
জানা গেছে, মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর। তিনি স্ত্রী নাসিমা আক্তার মুন, মেয়ে মুনিয়া ও ছেলে বাবুজ রাইয়ানসহ অনেকআত্মীয় স্বজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
আদিলের স্ত্রী মুন জানান, আদিল দীর্ঘদিন ধরেই ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছিলেন। তার হার্টেও অসুখ ছিলো। আর স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার কারণে নিজেকে গেল এক বছর ধরে গৃহবন্দী করে রাখেন আদিল। শনিবার রাতে হঠাৎ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে কিছুক্ষণ পরই তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
অসংখ্য ছবির দুর্দান্ত এই অভিনেতার প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ শিল্পী সমিতি, পরিচালক সমিতি, প্রযোজক পরিবেশক সমিতি, বাচসাস পরিবার, বাবিসাস পরিবারসহ আরও অন্যান্য সংগঠন ও তারকারা।
তাদের মধ্যে চিত্রনায়ক ওমর সানী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘ভিলেন চরিত্রকে যিনি নায়কোচিত করে তুলেছিলেন এই দেশের পর্দায় তিনি আর নেই আমাদের মাঝে। আদিল ভাই আপনার না ফেরার দেশে চলে যাওয়াটাও তারতারি হয়ে গেলো। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতবাসী করুন।’
আদিলের ছেলে বাবুজ রাইয়ান বিভিন্ন গণমাধ্যমকে জানান, রবিবার বাদ যোহর নারায়ণগঞ্জ চাষাঢ়া পুকুর পাড় বড় মসজিদে নামাজে জানাজার পর রাষ্ট্রীয়ভাবে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। এরপর নারায়ণগঞ্জ মাজদাইল পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
প্রসঙ্গত, আদিল মূলত একজন খল অভিনেতা জনপ্রিয়তা পান। ১৯৭২ সালে মুক্তি পায় তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র ‘এখানে আকাশ নীল’। তারপর দীর্ঘ ক্যারিয়ারে তিনি উপহার দিয়েছেন ‘ঈমান’, ‘রাজমহল’, ‘বারুদ’, ‘বুলবুল এ বাগদাদ’,‘চন্দ্রলেখা’, ‘মোকাবেলা’, ‘তাজ ও তলোয়ার’, ‘সওদাগর’, ‘নাগিনী কন্যা’, ‘তিন বাহাদুর’, ‘বন্দুক’, ‘শাহী দরবার’, ‘নসীব’, ‘রাজিয়া সুলতানা’, ‘নেপালী মেয়ে’র মতো সুপারহিট সব চলচ্চিত্র।
এই অভিনেতার মৃত্যুতে জাগো নিউজ পরিবারও গভীর শোক প্রকাশ করছে।
এলএ/এমএস