যেভাবে হত্যা করা হয় জেনারেল সোলেইমানিকে
ইরাকে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ইরানের অঘোষিত সেনাপতি ও দেশটির ক্ষমতাধর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি নিহত হয়েছেন। তারপর থেকে চিরবৈরী ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা আরও চরমে। মধ্যপ্রাচ্যে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরুর ইঙ্গিতও দিচ্ছেন অনেকে। যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় নিহত হওয়ার আগের কয়েক ঘণ্টা জেনারেল সোলেইমানি যা করেছিলেন তার বিস্তারিত তুলে ধরা হলো।
সিরিয়ার বেসরকারি বিমান পরিবহন সংস্থা ছাম উইংসের একটি ফ্লাইটে শুক্রবার ভোরে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন অভিজাত কুদস ফোর্সের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানি। বিমানবন্দরে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন তার দীর্ঘদিনের বন্ধু এবং ইরাকে ইরানের বড় মিত্র হাশদ আল-শাবির উপ-প্রধান আবু মাহদি আল-মুহানদিস।
ইরাকের শিয়া নেতাদের বরাতে সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আই বলছে, বিমানবন্দরে নামার পর ছোট অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সোলেইমানিকে স্বাগত জানানো হয়। তারপর দুটি গাড়িতে মুহানদিসের সঙ্গে বাগদাদের গ্রিন জোনে অবস্থিত তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য যাত্রা শুরু করেন সোলেইমানি ও মুহানদিস। তারা দুজন একই গাড়িতে ছিলেন।
সোলেইমানির এবারের ইরাক সফরে কিছু একটা ভুল ছিল। কেননা তখন তাদের মাথার ওপর হামলার জন্য প্রস্তুত ছিল মার্কিন ড্রোন। যার মাধ্যমে কয়েক মিনিটের মধ্যেই দুজন ঘটনাস্থলেই নিহত হন। তবে সোলেইমানির গতিবিধি অনুসরণ করা হচ্ছিল কয়েক দিন আগে থেকেই। সেই কয়েক দিনে যা ঘটেছিল এবার তা জানা যাক।
মার্কিন হামলায় নিহত এই দুই সেনা অধিনায়কের দলের ঘনিষ্ঠ দুজন বলছেন, সোলেইমানি ও মুহানদিস কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের হিটলিস্টে ছিলেন। তাই এই দুই মিত্র সেনাপতি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা থেকে নিজেদের বিরত রাখতেন সবসময়। তারা কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনী ও কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রের চোখ এড়িয়ে চলতেন।
তাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার ব্যাপারটা ছিল যথেষ্ট কড়াকড়ি। অল্প কিছু মানুষ তাদের সরাসরি দেখতে পেতেন। অত্যন্ত সাধারণভাবে তারা চলাফেরা করতেন। তারা কখন কোথায় যাচ্ছেন কিংবা কার সঙ্গে দেখা করতেন এ বিষয়ে কেউই কিছু জানতেন না। তাদের কার্যক্রম চলতো সব গোপনে।
মুহানদিসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে এমন এক নেতা বলেন, ‘এগুলো হলো তাদের আদর্শ সুরক্ষা ব্যবস্থা। তারা আগেই দিনক্ষণ উল্লেখ করে কখনো কোথাও যেতেন না। এমনকি তাদের গন্তব্য এবং তারা কোন বিমান পরিবহন সংস্থার ফ্লাইটে চলাচল করতেন তা পর্যন্ত কখনো জানা যেত না।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা প্রতিনিয়ত একই পথে চলাচল করতেন না। বিমানবন্দরে অন্য সবার মতো আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় পার্সপোর্টে সিল মারা হতো না তাদের। তারা কখনোই স্মার্টফোন ব্যবহার করতে না, চলাফেরা করতেন সাধারণ মানের গাড়িতে। মোটের ওপর তাদের গতিবিধি জানা ছিল কঠিন কাজ।
মিডল ইস্ট আই যেসব শিয়া নেতার বক্তব্য শুনেছেন তাদের কেউই নিরাপত্তার কারণে নিজেদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলেন। মুহানদিসের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকা ওই সশস্ত্র নেতা জানালেন, ‘এতকিছু সত্ত্বেও দামেস্ক (সিরিয়ার রাজধানী) ও বাগদাদে (ইরাকের রাজধানী) মার্কিন সমর্থিত গোয়েন্দায় পূর্ণ থাকায় তাদের হত্যা করা সম্ভব হয়েছে।’
নির্দিষ্ট সাক্ষাতের স্থান বৈরুত (লেবানন)
সোলেইমানির গতিবিধি সম্পর্কে অবগত ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তারা মিডল ইস্ট আইকে জানিয়েছেন, দেশর সীমানার বাইরে ইরানের আধিপত্য বিস্তারের কারিগর সোলেইমানি ইরাকে ঢোকার জন্য বেশ কিছু পয়েন্ট ব্যবহার করতে না। কখনো আকাশপথে তো কখনো সীমান্ত দিয়ে তিনি ইরাকে প্রবেশ করতেন। তা কেউ জানতো না।
গত শুক্রবারের মতো কদাচিৎ সোলেইমানি বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করতেন। মাঝেমধ্যে বাগদাদ থেকে কিছুটা দূরের নাজাফ সীমান্ত ও ইরানের দিয়ালার মুনথিরিয়া সীমান্ত হয়ে ইরাকে আসতেন। বাগদাদ থেকে সীমান্তবর্তী ওই এলাকার দূরত্ব ১২০ কিলোমিটার।
গাড়িতে করে দক্ষিণে বাগদাদে যাওয়ার আগে উত্তর ইরাকের কুর্দিস্তান অঞ্চলে যেতেন তিনি। ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ’র এক নেতা মিডল ইস্ট আইকে বলেন, এই সমস্ত রুটের কোনোটাই সোলেইমানিকে বাঁচাতে পারেনি। পরিবর্তে গত ৩৬ ঘণ্টার ভ্রমণপথে তিনি ধোঁকার শিকার হয়েছেন।
হিজবুল্লাহর ওই নেতা বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার সোলেইমানি যখন ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে দামেস্কে এসে পৌঁছান তখন থেকেই তার ওপর নজরদারি করা শুরু হয়েছিল। শুক্রবার ভোরে বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ড্রোন হামলায় নিহত হওয়ার আগ পর্যন্ত তার চলাচল নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়।’
সোলেইমানি দামেস্ক বিমানবন্দরে পৌঁছান বৃহস্পতিবার সকালে। তিনি সিরিয়ার রাজধানী শহরে কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ না করেই সোজা প্রথমে বিমানে তারপর গাড়িতে করে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে যান। যেখানে তিনি হিজবুল্লাহ’র সেক্রেটারি জেনারেল হাসান নাসারাল্লাহর সঙ্গে বৈঠক করেন।
ওই বৈঠক সম্পর্কে অবহিত হিজবুল্লাহ নেতা বলেন, ‘ইরাকের সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে কয়েক ঘণ্টা বৈঠক করেন তারা। বিশেষ করে মার্কিন বিমান হামলা এবং যেই হামলায় ইরান সমর্থিত ইরাকের আধাসামরিক বাহিনী কাতায়েব হিজবুল্লাহর ২৫ যোদ্ধা মারা যান। এরপর বাগদাদে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় যোদ্ধারা।
লেবাননের ওই সশস্ত্র বিদ্রোহী নেতা আরও বলেন, ‘আলোচনার মূল লক্ষ্য ছিল মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়াদের কার্যক্রম পরিচালনার ব্যাপারে সহায়তা এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো সংঘাত শুরু হলে তার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তাদেরকে প্রস্তুত করা। এছাড়া নাসারাল্লাহ সংশ্লিষ্টদের বিদ্যমান বিবাদ সমাধাণও ছিল আলোচনার বিষয়।
সোলেইমানির বাগদাদে অবতরণ
সোলেইমানি বৈরুতে প্রয়োজনের চেয়ে এক মিনিটও বেশি অবস্থান করেননি। তিনি হিজবুল্লাহ নেতার সঙ্গে আলোচনা শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যথেষ্ট গোপনীয়তার মাধ্যমে যেভাবে সেখানে গিয়েছিলেন ঠিক সেভাবেই সিরিয়ার রাজধানী শহর দামেস্কে ফিরে আসেন।
দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে বাগদাদে যাওয়ার জন্য অন্য সাধারণ যাত্রীদের সঙ্গে সিরিয়ার ছাম উইংসের একটি ফ্লাইটে ওঠেন তিনি। বিমানটি ছাড়ার সময় ছিল স্থানীয় সময় ৮টা ২০মিনিটে কিন্তু অজানা কারণে বিমানটি প্রায় দুই ঘণ্টা দেরিতে রাত ১০টা ২৮ মিনিটে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
একই সময়ে মুহানদিস খবর পান যে আর অল্প কিছুক্ষণের মধ্যে তার বন্ধু জেনারেল কাসেম সোলেইমানি ইরাকে অবতরণ করবেন। কেবল বিমান সংস্থা ও সোলেইমানির অবতরণের সময় জানিয়ে হাশদ আল-শাবির ওই শীর্ষ নেতাকে খুব সংক্ষিপ্ত এই নোটটি দেয়া হয়েছিল।
মুহানদিস ছিলেন ইরাকের অন্যতম ক্ষমতাধর এক ব্যক্তি এবং ইরাকে ইরানের ‘পয়েন্ট ম্যান’। তাকে হামেশাই বাগদাদে ঘুরতে দেখা গেলেও সে রাতে এমনটা হয়নি। তার বদেলে তিনি হাশদ আল-শাবির বিমান সংক্রান্ত বিষয়ের জন্য নিয়োজিত উপদেষ্টা মোহাম্মদ রেধাকে তলব করে তাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয়ার নির্দেশ দেন এবং বিশেষ অতিথির জন্য সবরকম ব্যবস্থা করতে বলেন।
২০০৩ সাল থেকে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তার বেশ কড়াকড়ি। আর এর নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভাল করে ব্রিটিশ কোম্পানি জি৪এস। তারা ইরাকের গোয়েন্দা ও দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা সেবা বাহিনীর তত্ত্বাবধানে বাগদাদ বিমানবন্দরের নিরাপত্তার কাজটি তদারকি করে।
ইরাকের কাউন্টার টেররিজম বাহিনীর সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকা, বিমানবন্দরের আকাশসীমা ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সড়কগুলোর সুরক্ষিত রাখার দায়িত্ব পালন করে থাকে।
সাধারণ যাত্রীরা বিমানবন্দরে ঢুকতে চাইলে কিংবা বের হতে চাইলে বেশ কয়েকটি তল্লাশি চৌকির মাধ্যমে তাদের নিরাপত্তা তল্লাশির মুখোমুখি হতে হয়। বিমানবন্দর ও এর আশেপাশের ১০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বেশ কিছু তল্লাশি চৌকি বসানো হয়েছে।
যেসব পর্যটক ও কর্মকর্তা বিশেষ সুবিধা পান তাদেরকে ভিআইপি সড়কের মাধ্যমে চলাচলের পথ তৈরি করে দেয়া হয়। আর এর জন্য যাত্রীদের পরিচয় ও যানবাহনের নম্বর-নিবন্ধকরণের বিশদটি সেখানে থাকা তল্লাশি চৌকিতে জানানোর তেমন কোনো প্রয়োজন হয় না। যদি কোনো তথ্য আসে তাহলে তা বিমানবন্দরের নিরাপত্তা রক্ষী, জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও গোয়েন্দার সঙ্গে জি৪এসকে জানানো হয়।
মুহানদিসকে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার ইরাকি প্রতিপক্ষরা ইরাকের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করে এবং ইরাকে ইরাকের ইচ্ছা-অনিচ্ছা কার্যকরের কারিগর মনে করে। যুক্তরাষ্ট্র অনেক বছর ধরে তার ওপর নজরদারি করে আসছে এবং আল-শাবির রেহদা যে মুহান্দিস ছাড়া আর কাউকে সেখানে নিয়ে যাননি এ বিষয়টি আর গোপন ছিল না।
মুহানদিস ঘনিষ্ঠ তার দলের এক নেতা বলেন, ‘এটা সবাই জানে যে হাশদ আল-শাবির প্রধান বিমানবন্দর সোলেইমানি ছাড়া আর কাউকে অভ্যর্থনা জানাতে যান না।
সর্বশেষ ওই অবস্থা সম্পর্কে অবহিত এক মার্কিন সূত্র মিডল ইস্টকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তথ্য এসেছিল যে সোলেইমানি এখন বাগদাদের পথে এবং তাকে অভ্যর্থনা জানাতে বিমানবন্দরে যাবেন মুহানদিস। তারপর মুহানদিস সোলেইমানিকে নিয়ে বাগদাদে ব্যাপক নিরাপত্তা দূর্গ গ্রিন জোনে নিজের বাড়িতে নিয়ে যাবেন।
ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনীর কর্মকর্তা এবং হাশদ আল শাবির বেশ কয়েকজন নেতা এই পরিকল্পনার কথা নিশ্চিত করেন।
ফাঁদ পাতা ছিল
ছাম উইংসের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, আকাশপথে দামেস্ক থেকে বাগদাদে পৌঁছাতে সময় লাগে মাত্র এক ঘণ্টা ৫ মিনিট। সোলেইমানি যে বিমানে আসছিলেন সেটি স্থানীয় সময় রাত ১২টা ৩২ মিনিটে বাগদাদে অবতরণ করে। সোলেইমানির সফরসঙ্গী ছিলেন দুজন, যাদের মধ্যে একজন তার জামাতা।
সোলেইমানি বিমানবন্দরে অবতরণের পর তিনি কোনো কালক্ষেপণ করতে চাননি। মুহানদিস ও বাকি অনুসারীদের নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে তিনি সন্দেহ বাড়াতে চাননি। জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনী কর্মকর্তারা তাদের ভ্রমণ সংক্রান্ত কাগজপত্র পরীক্ষা করে তাদের লাগেজ সংগ্রহ করেন।
তারপর তারা হুন্দাই স্টার্ক মিনিবাসের থাকা নিরাপত্তারক্ষীদের নিয়ে টয়োটা আভালনে করে যাত্রা শুরু করেন মুহান্দিস। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের গাড়িবহরে হামলা হয়। জাতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী বাগদাদ বিমানবন্দরে হামলার ঘটনাটি ঘটে রাত ১টা ৪৫ মিনিটে। প্রাথমিক তদন্ত বলছে, দুটি গাড়ি লক্ষ্য করে তিনটি গাইডেড ক্ষেপনাস্ত্র দিয়ে হামলা করা হয়।
দুটি গাড়ির মধ্যে দূরত্ব ছিল আনুমানিক ১০০ থেকে ১২০ মিটার। প্রথমে একটি মিসাইল এসে হুন্দাই স্টার্কসে হামলা আঘাত হানে। দ্বিতীয় মিসাইলটি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে ব্যর্থ হলেও তৃতীয় আরেকটি মিসাইল ছোড়া হয় সোলেইমানিকে বহনকারী টয়োটা আভালনকে লক্ষ্য করে। এরপর সব শেষ।
ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ছোড়া হয়েছিল মার্কিন এমকিউ-নাইন রিপার ড্রোন থেকে। হত্যার শিকার ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে ইরাকের কর্তৃপক্ষের কয়েক ঘণ্টা সময় লেগেছিল। ঘটনার শিকার অনেকের শরীর আগুনে পুড়ে পুরোপুপি নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে। হামলায় সোলাইমানিসহ নিহত হন ১০ জন। এরপর থেকে তোলপাড় বিশ্ব রাজনীতি।
এসএ/এমএস