সামরিক হত্যার ‘সামরিক জবাব’ দেবে ইরান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৭:০৪ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২০
ইরানের প্রভাবশালী বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর অভিজাত শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলেইমানি হত্যার জবাব সামরিকভাবেই দেয়া হবে বলে হুমকি দিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির সামরিক এক উপদেষ্টা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে দেয়া এক বিশেষ স্বাক্ষাৎকারে খামেনির সামরিক উপদেষ্টা হোসেইন দেহঘান বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের জবাব অবশ্যই সামরিক হবে এবং এটি হবে সামরিক স্থাপনার বিরুদ্ধে।
দেহঘান ইরানের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ছিলেন। বর্তমানে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ এবং প্রধান সামরিক উপদেষ্টার দায়িত্বে পালন করছেন তিনি। সিএনএনকে দেয়া স্বাক্ষাৎকারে দেহঘান বলেন, আমাকে একটি কথা বলতে দিন : আমাদের নেতৃত্ব সরকারিভাবে ঘোষণা দিয়েছে যে, আমরা কখনও যুদ্ধ চাই না এবং কখনও চাইবো না।
‘আমেরিকাই যুদ্ধ শুরু করেছিল। এমন অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্রের পদক্ষেপের যথাযথ প্রতিক্রিয়া তাদের পাওয়া উচিত। এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারে একটি বিষয়। আর সেটি হলো আমেরিকানরা যে ধরনের আঘাত হেনেছে, ঠিক একই ধরনের সমান আঘাত পাওয়া। এর পর তাদের নতুন কোনো ঘটনা কামনা করা উচিত হবে না।’
এর আগে শনিবার ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ইরানের কমান্ডার কাসেম সোলেইমানিকে হত্যা করে যুক্তরাষ্ট্র ভয়াবহ ভুল করেছে। এর জবাবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক টুইটে বলেন, আমেরিকান সম্পত্তির ওপর তেহরান হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত কঠোর এবং অতিদ্রুত পাল্টা আঘাত হানবে।
ওই টুইটে ইরানের ৫২টি টার্গেটে যুক্তরাষ্ট্র আঘাত হানবে বলে জানান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ১৯৭৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস দখলে নেয়ার পর ইরান ৫২ জনকে জিম্মি করেছিল। সেই পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে ট্রাম্প ইরানের ৫২টি টার্গেট বেছে নেয়া হয়েছে বলে জানান। দেহঘান মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই টুইটকে হাস্যকর এবং অযৌক্তিক বলে মন্তব্য করেছেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প আন্তর্জাতিক আইন জানেন না। এমনকি তিনি জাতিসংঘের প্রস্তাবনাকে স্বীকারও করেন না। আসলে তিনি একজন সত্যিকার গুণ্ডা এবং জুয়াড়ি। তিনি রাজনীতিবিদ নন। তার মানসিক স্থিতিশীলতাও নেই।
ইরানের কোনো সাংস্কৃতিক স্থাপনার ওপর ট্রাম্প যদি তার হুমকি অনুযায়ী হামলা চালান, তাহলে কী ঘটবে? এমন প্রশ্নের জবাবে আয়াতুল্লাহ খামেনির এই সামরিক উপদেষ্টা বলেন, আমেরিকান কোনো সামরিক কর্মী, আমেরিকার কোনো রাজনৈতিক কেন্দ্র, আমেরিকার কোনো সামরিক ঘাঁটি, আমেরিকার কোনো সামুদ্রিক যান নিরাপদ থাকবে না। আর এসব আমাদের আওতার সীমার মধ্যে রয়েছে।
সূত্র : সিএনএন।
এসআইএস/এমএস