সোলেইমানির জন্য কাঁদছে ইরান, রাস্তায় লাখো জনতা
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:২৩ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২০
মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ইরানের অঘোষিত সেনাপতি ও দেশটির ক্ষমতাধর জেনারেল কাসেম সোলেইমানির মরদেহ তার দেশে পৌঁছেছে। দেশটির দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর আহবাজে মরদেহ পৌঁছানোর পর লাখো মানুষ কালো পোশাক পরে চোখের পানিতে তাদের প্রিয় ‘হাজি কাসেম’কে বিদায় জানাতে সমবেত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার দুদিন পর রোববার সকালে ইরানের আহবাজ শহরে জেনারেল সোলেইমানির মরদেহ এসে পৌঁছায়। ওই হামলার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনার পারদ চড়েছে। শুক্রবার বাগদাদ বিমানবন্দরের ড্রোন থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালালে সোলেইমানি ছাড়াও ইরান সমর্থিত ইরাকের মিলিশিয়া নেতা আবু মাহদিও নিহত হন।
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে রোববার প্রচারিত এক ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, আহবাজ শহরে লাখ লাখ ইরানি সোলেইমানির ছবি নিয়ে স্লোগানে স্লোগানে তাদের শোক জানাচ্ছেন। ১৯৮০ সালে ইরান-ইরাক যুদ্ধে অবদান এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের আধিপত্য তৈরির কারিগর সোলেইমানি আপামর ইরানিদের কাছে একজন নায়ক।
ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, ভিড়ে পূর্ণ জনতার মিছিল আহবাজের মোল্লাভি স্কয়ার অভিমুখে গিয়ে সেখানে সমবেত হচ্ছেন। শোকাহত ইরানিদের হাতে সাদা, সবুজ আর শহীদের রক্তের প্রতীক লাল পতাকা। নারী-পুরুষ উভয়ই তাদের বুকে আঘাতের মাধ্যমে চিৎকার করছেন এবং কাঁদছেন। প্রিয় নেতাকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে তাদের এই আহাজারি।
কর্তৃপক্ষের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, রোববার দিনশেষে সোলেইমানির মরদেহ মাশাদ শহরে নেয়া হবে। পরদিন সোমবার রাজধানী তেহরান ও পবিত্র নগরী কোমে তার মরদেহ নেয়া হবে সাধারণ মানুষের শোক জানানোর জন্য। এরপর মঙ্গলবার নিজ শহর কেরমানে সমাহিত হবেন সোলেইমানি।
মাশাদ থেকে আলজাজিরার প্রতিনিধি দোরসা জাব্বারি বলেন, ‘শোকাহত ইরানিরা ইমাম রেজার মাজারে সমবেত হচ্ছেন। সেখানে সোলেইমানির কফিনবন্দি মরদেহ সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে। অভিজাত কুদস ফোর্সের কমান্ডার জেনারেল সোলেইমানিকে ইরানিরা প্রচন্ড ভালোবাসতেন এবং সর্বোচ্চ সম্মান করতেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘সোলেইমানির মৃত্যুতে শোকাহত অনেক ইরানি বলছেন, তারা বিশ্বাস করেন না যে সোলেইমানি আর নেই। গোটা দেশ তার মৃত্যুতে শোকাহত। শোকের সঙ্গে অনেকে তাদের ক্ষোভ ও হতাশাও প্রকাশ করেছেন। ইরানিরা চান, তাদের সরকার ও সামরিক বাহিনী এর প্রতিক্রিয়া দেখাক। এই হত্যার বদলা চায় তারা।’
এসএ/এমএস