এবার নতুন ধাঁচের অস্ত্র পাঠানোর হুমকি ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:৩৩ পিএম, ০৫ জানুয়ারি ২০২০
ইরানের ৫২টি স্থাপনায় হামলার হুমকির কয়েক ঘণ্টা পর নতুন ধাঁচের (ব্র্যান্ড নিউ) অস্ত্র পাঠানোর হুমকি দিলেন ইরানের দ্বিতীয় ক্ষমতাধর ব্যক্তি জেনারেল সোলেইমানির হত্যার নির্দেশদাতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, ইরান হামলা করলে কোনো দ্বিধা ছাড়াই এই ‘সুন্দর’ অস্ত্র তাদের (ইরান) জন্য পাঠানো হবে।
শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের এক হামলায় ইরানের কুদস বাহিনীর ক্ষমতাধর জেনারেল কাসেম সোলেইমানি এবং ইরাকে ইরান সমর্থিত মিলিশিয়া উপ-প্রধান আবু মাহদি নিহত হন। হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রকে কঠোর প্রতিশোধের হুমকি দেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
টুইটারে দেয়া ওই বার্তায় ট্রাম্প বলেন, সামরিক অস্ত্রভাণ্ডারে যুক্তরাষ্ট্র দুই ট্রিলিয়ন ডলার খরচ করেছে। আমরাই বিশ্বের বৃহত্তম এবং সর্বোত্তম সামরিক শক্তি। ইরান যদি মার্কিন ঘাঁটি বা অন্য কোনো আমেরিকানের ওপর হামলা চালায় তবে আমরা আমাদের ব্র্যান্ড নিউ এই ‘সুন্দর’ অস্ত্রগুলো সেখানে পাঠাব। এ বিষয়ে কোনো সংশয় নেই।’
এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প ইরানকে হুমকি দিয়ে বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের ৫২ স্থানকে টার্গেট করেছে। এর মধ্যে কিছু ইরানের প্রথম সারির এবং খুবই গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এগুলো ইরানের সংস্কৃতি এবং ইরানিদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। এসব স্থানে দ্রুত ভয়াবহ হামলা চালানো হবে।
ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আর কোনো হুমকি চায় না। তিনি আরও বলেন, ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে তেহরানে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে ৫২ জন আমেরিকানকে জিম্মি করা হয়েছিল। তারা ৪৪৪ দিন বন্দি ছিলেন। ওই ৫২ জনের কথা স্মরণ করেই ইরানের ৫২ স্থানকে টার্গেট করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
শুক্রবার ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলেইমানিকে হত্যা করা হয়। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দাবি, বাগদাদে মার্কিন কর্মকর্তাদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন সোলেইমানি।
এদিকে সোলাইমানির মৃত্যুতে ভয়াবহ প্রতিশোধের হুমকি দিয়েছে ইরান। তবে কবে কখন ইরান এই প্রতিশোধ নেবে তা এখনও পরিষ্কার নয়। ট্রাম্প প্রশাসন সোলেইমানিকে হত্যা করে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ পরিস্থিতির সূচনা করেছে। দুই দেশের মধ্যে সাম্প্রতিক সময়ে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে।
টিটিএন/এমএস