ছিঃ শাকিব খান ছিঃ
চলচ্চিত্র সাংবাদিকতার কিংবদন্তি মোহাম্মদ আওলাদ হোসেনের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চলচ্চিত্র শিল্পজুড়ে। তার প্রয়াণের ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও কাটেনি থমথমে ভাব। তবে এরইমাঝে সরব হয়ে উঠেছে দেশের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান এফডিসিতে বেকার বসে থেকেও আওলাদ হোসেনকে শেষ বিদায় জানাতে না আসায়।
শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর দ্বিতীয় জানাযার জন্য আওলাদ হোসেনের মরদেহ এফডিসি চত্বরে নিয়ে আসা হয়। প্রশাসনিক ভবনের সামেন প্রতিথযশা এই সাংবাদিককে ভালোবাসা আর অশ্রুজলে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন মাননীয় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব এ কে এম জাহাঙ্গীর খান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, কে এম আর মঞ্জুর, আব্দুল লতিফ বাচ্চু, কাজী হায়াত, বাচসাস সভাপতি আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ইকবাল করিম নিশান, পরিচালক সমিতির সভাপতি সোহানুর রহমান সোহান, মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার। ছিলেন মতিন রহমান, শাহ আলম কিরণ, মাসুম বাবুল, এম এন ইস্পাহানী আরিফ জাহান, এস এ হক অলিক, সুদীপ দে, দেবাশীষ বিশ্বাস, জয়নাল আবেদীন, মোস্তাফিজুর রহমান মানিক, শাহীন কবির টুটুল, মোহাম্মদ মোস্তাফা কামাল রাজসহ আরো অসংখ্য চিত্র পরিচালক।
চিত্র তারকাদের মধ্যে উজ্জল, নূতন, রুবেল, আমিন খান, মৌসুমী, ওমর সানি, মিশা সওদাগর, পপি, কাজী মারুফ, কেয়া, জায়েদ খান, নিপুণ, সাইমন, আরজু, আসিফ ইমরোজ, শাহ রিয়াজসহ আরো অনেকেই। ছিলেন অগুনতি সাংবাদিকরাও। আওলাদ হোসেনের মরদেহের সামনে দাঁড়িয়ে চোখের জল মুছতে দেখা গেছে এফডিসির দারোয়ান, কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও।
দেশে থাকতে না পারায় নায়ক মান্নার স্ত্রী শেলী মান্না শোকবার্তা পাঠিয়েছেন ভারত থেকে। নায়ক অনন্ত জলিল ব্যবসায়িক কারণে দেশের বাইরে থাকায় তার ব্যক্তিগত সহকারী সজীবকে পাঠিয়েছেন। নিজে ফেসবুকে শোক বানী দিয়েছেন। এছাড়া সাংস্কৃতিক অঙ্গনের প্রায় সব মানুষের ফেসবুক দেওয়াল হয়ে উঠেছিল শোক বই।
অথচ, ওই এফডিসিরই ২ নম্বর ফ্লোরের মেকআপ রুমে বসে অলস সময় পার করলেও দেখা দিলেন না শাকিব খান! জানা গেছে, নতুন ছবি ‘ধুমকেতু’র শুটিং করতেই সেদিন এফডিসিতে ছিলেন শাকিব। আওলাদ হোসেনের মরদেহ এফডিসিতে পৌঁছালে তার ছবির পরিচালক শফিক হাসান নিজে শুটিং বন্ধ করে চলে এসেছিলেন প্রশাসনিক ভবনের সামনে তাকে শেষ বিদায় জানাতে। কিন্তু শাকিব এলেন না।
বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা তুঙ্গে উঠেছে। সাংবাদিক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্র পরিচালক ও তারকারাও এজন্য নিন্দা জানিয়েছেন। আর সোশাল মিডিয়ায় শাকিবকে অসামাজিক বলেও দাবি করছেন অনেকে। কেউ কেউ প্রশ্ন তুলেছেন- শাকিবের সময়ের মূল্য কি একজন তথ্যমন্ত্রীর চেয়েও বড়? কেউ আবার শাকিবের শিক্ষা ও পারিবারিক স্ট্যাটাসের দিকেও আঙুল তুলেছেন।
তাদের বক্তব্য, দেশের একজন শীর্ষ নায়ক হিসেবে তো বটেই চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি হিসেবেও আওলাদা হোসেনকে দেখতে আসাটা দায়িত্ব ছিলো শাকিবের।
অবশ্য শাকিবের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ নতুন নয়। এর আগেও বেশ কয়েকবার এফডিসিতে উপস্থিত থেকেও সেখানে অনুষ্ঠিত হওয়া বেশ ক’জন চলচ্চিত্র শিল্পীদের জানাযায় আসেননি শাকিব। তবে আওলাদ হোসেনের মতো চলচ্চিত্রের নিবেদিত প্রাণ সাংবাদিকের মৃত্যুতে শাকিবের নীরবতা ও বেকার বসে থেকেও জানাযায় উপস্থিত না হওয়ায় ছিঃ ছিঃ করছেন সবাই। বলছেন- এমন অসামাজিক নায়ক দিয়ে জাতি কী করবে?
# আওলাদ হোসেন যা বলেছিলেন শেষ সাক্ষাতকারে
এলএ