ঢাবির আইবিএতে দ্বিতীয় বার ভর্তির সুযোগের দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) `ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’-এ (আইবিএ) দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষার দেয়ার সুযোগের দাবি জানিয়েছে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীরা।
শনিবার দুপুর পৌনে ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুধুর ক্যান্টিনে ‘আইবিএ ভর্তিচ্ছু সাধারণ শিক্ষার্থী’ এর ব্যানারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ দাবি জানান।
এসময় শিক্ষার্থীরা পূর্বের ন্যায় ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ বহাল রাখার দাবিতে রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বরাবর স্মারকলিপি পেশেরও ঘোষণা দেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইফতেখার ইবনে আলম। তিনি বলেন, ‘বিগত ২৫ বছর যাবৎ আইবিএ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সতন্ত্র ইনস্টিটিউট হিসেবে আন্তর্জাতিক মানে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে আসছে। ইতোপূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য অনুষদ ও ইনস্টিটিউটে দ্বিতীয় বারের বেশি ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ না থাকলেও আইবিএতে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ এর পরও ২৬ বছর পযর্ন্ত ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ ছিল।
কিন্তু ২০১৪-১৫ সেশন থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য ইউনিটে দ্বিতীয়বার ভর্তির সুযোগ বাতিল করা হলেও সেখানে আইবিএর ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে কোনো উল্লেখ ছিল না।’
ইফতেখার বলেন, ‘এর পরও আমরা আইবিএ অফিসে বিষয়টি নিয়ে কয়েকবার কথা বলেছি। অফিস থেকে বরাবরই আমাদের জানিয়েছে দ্বিতীয় বার ভর্তি পরীক্ষা দেয়া যাবে। কারণ আইবিএ শুধু বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন ভর্তি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে আর কিছু না।
কিন্তু গত ১৬ সেপ্টেম্বর আইবিএতে দ্বিতীয় বার ভর্তির সুযোগ নেই বলে একটি নোটিশ টানানো হয়। যা আমাদের মতো ভর্তিচ্ছু প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য একটি আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। আমরা এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ ও এটি প্রত্যাহার করে পূর্বের ন্যায় ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগের দাবি জানাই।’
সংবাদ সম্মেলন থেকে শিক্ষার্থীরা রোববার বেলা ১১টায় রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক ও আইবিএ পরিচালকের বরাবর স্মরকলিপি পেশ করার ঘোষণা দেন। এছাড়াও দাবি আদায়ে নিজেদের কর্মসূচি অব্যহত রাখার কথাও বলেন শিক্ষার্থীরা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী হলিক্রস কলেজ এর সাবেক শিক্ষার্থী সাদিয়া চম্পা, ভিকারুন্নেসা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী সামিরা আহমেদ, নটরডেম কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী মুহিব আল মামুন প্রমূখ।
এমএইচ/এসকেডি/এমএস