দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় তরুণী মালালা
চলতি দশকের সবচেয়ে জনপ্রিয় তরুণী হিসেবে নোবেলজয়ী পাকিস্তানি মানবাধিকারকর্মী মালালা ইউসুফজাইকে স্বীকৃতি দিয়েছে জাতিসংঘ।
২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ঘটে যাওয়া ঘটনাবলীতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় তাকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির শীর্ষ রাখা হয়েছে। গত ২৩ ডিসেম্বর প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে জাতিসংঘ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী নারী শিক্ষার অধিকারের পক্ষে এই দশকে মালালা যেসব ভূমিকা নিয়েছেন, এতে তার ধারে-কাছেও কেউ নেই।
প্রতিবেদনে পর্যবেক্ষণের প্রথম ধাপে ২০১০ সাল থেকে ২০১৩ সালের মধ্যে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে- হাইতির বিপর্যয়কর ভূমিকম্প, নারী শিক্ষায় মালালার চেষ্টা ও মালিতে জাতিসংঘের সবচেয়ে বিপজ্জনক মিশন।
এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তরুণ বয়স থেকেই মালাল ইউসুফজাই নারী শিক্ষার পক্ষে ও তালেবানের নৃশংসতার বিরুদ্ধে কথা বলায় বিখ্যাত হয়ে ওঠেন।
মালালার জন্ম ও বেড়ে ওঠা পাকিস্তানের সোয়াত উপত্যকায়। ২০১২ সালে বাসে করে সহপাঠীদের সঙ্গে স্কুলে যাওয়ার পথে তালেবান বন্দুকধারীরা তাকে গুলি করে।
জাতিসংঘ বলছে, নারী শিক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা রাখায় মালালাকে ওই সময় গুলি করে হত্যাচেষ্টা করা হয়। যদিও পরে সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
২০১৪ সালে শান্তিতে নোবেল ছাড়াও বেশকিছু বিখ্যাত পুরস্কার পেয়েছেন মালালা ইউসুফজাই। নারী শিক্ষাকে এগিয়ে নিতে ২০১৭ সালে তাকে শান্তিদূত নির্বাচিত করে জাতিসংঘ।
মালালার বয়স এখন ২২। পৃথিবীর যে প্রান্তে যখনই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়, গর্জে ওঠেন। ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের বোমাবর্ষণ থেকে শুরু করে আফগানিস্তানের কোনো গ্রামে নারীর ওপর আক্রমণ হলে সরব হয়ে ওঠেন তিনি। ভারতের কাশ্মিরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর সেখানকার পরিস্থিতি নিয়েও নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন এই তরুণী।
এমএসএইচ