সংবর্ধনার মাধ্যমে ষড়যন্ত্র রুখতে চায় মহাজোট


প্রকাশিত: ১১:১৪ এএম, ০২ অক্টোবর ২০১৫

প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেয়ার মাধ্যমে বিরোধীজোটের সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট। শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের এক যৌথসভায় নেতারা এমন প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
 
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ’ ও আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের ‘আইসিটি অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়ায় শনিবার (৩ অক্টোবর) গণসংবর্ধনা দেবে কেন্দ্রীয় ১৪ দল। এতে ব্যাপক জনসমাগম ঘটানোর চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছে মহাজোট।  

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন ১৪ দলীয় জোট নেতারা প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনায় গণমানুষের ঢল নামিয়ে ঐতিহাসিক জনসমাগম ঘটনোর ঘোষণা দিয়েছেন। এ গণসংবর্ধনা ঐতিহাসিক জনসমাগমের মাধ্যমে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুদের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেয়া হবে বলেও তারা  ঘোষণা দেন।

তারা দেশের জনগণের জন্য বয়ে আনা বিশাল অর্জনের জন্য ১৪ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানাতে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জাতীয় পতাকা হাতে শনিবার রাজপথে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান।

এদিকে, দেশের জন্য এ বিশাল অর্জন বয়ে আনায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে সংবর্ধনার আয়োজন করা হয়েছে। এ সংবর্ধনার প্রস্তুতি নিতে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা দলের সর্বস্তরের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলির সদস্য ও ১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর এ অর্জন গোটা জাতির। তাই সকলকে দলীয় সংকীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানোর অনুরোধ করছি। প্রধানমন্ত্রী তার অর্জনকে সমগ্র দেশবাসীর জন্য উৎসর্গ করেছেন। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় অসামান্য অবদান এবং তথ্য-প্রযুক্তিতে ব্যাপক সফলতা অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীকে দু’টি পুরস্কার দেয়া হয়েছে।

সভায় আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ও সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের সমন্বয়ক মাহাবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, অনুষ্ঠানে জনতার ঢল নামিয়ে বিএনপি জামায়াত ও তাদের আন্তর্জাতিক প্রভুদের ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দিতে চাই।

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধরিত্রী কন্যা আখ্যায়িত করেছি। পরিবেশ রক্ষার দায়িত্ব বিশ্বের বড় বড় দেশগুলোর হলেও তারা এই দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসছে না। প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দেশগুলোকে সঙ্গে নিয়ে এই দায়িত্ব নিজের হাতে তুলে নিয়েছেন।

১৪ দলের মুখপাত্র মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, জাসদ সাধারণ সম্পাদক শরীফ নুরুল আম্বিয়া, প্রধানমন্ত্রীর তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, শিল্প সম্পাদক আবদুস সাত্তার, উপ-দফতর সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি শফিকুর রহমান, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, আওয়ামী লীগের উপ-দফতর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, বাসদ আহ্বায়ক রেজাউর রশিদ খান, গণতন্ত্রী পার্টির সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য নুরুর রহমান সেলিম, কমিউনিস্ট পার্টিল কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ডা. ওয়াজেদুল ইসলমাম খান প্রমুখ।

এএসএস/এএইচ/বিএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।