উত্তরপ্রদেশে পাঠানো মমতার প্রতিনিধিরা বিমানবন্দরে আটকা
ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) এবং জাতীয় নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) নিয়ে বিক্ষোভের জেরে রোববারও থমথমে গোটা উত্তরপ্রদেশ। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মমতার পাঠানো তৃণমূলের প্রতিনিধিদলকে রাজ্যে ঢুকতে দেয়নি রাজ্যে ক্ষমতাসীন যোগী আদিত্যনাথের সরকার।
আনন্দবাজার প্রত্রিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী রোববার দুপুরে বিমানবন্দরে নামতেই তাদের ঘিরে ধরে পুলিশের একটি দল। তারপর ফাঁকা বাসে তুলে রানওয়ের উপরই একটি ফাঁকা জায়গায় নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। বর্তমানে সেখানেই ধর্নায় বসেছেন তৃণমূল কংগ্রেসের ওই নেতারা।
রাজ্য সরকারের দাবি, টানা বিক্ষোভের গত কয়েকদিন ধরে উত্তরপ্রদেশ উত্তাল। এমন সময় বাইরে থেকে রাজনীতিবিদরা এলে উত্তেজনা আরও বাড়তে পারে। তাই তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বিমানবন্দরে আটকে দেয়া হয়। কিন্তু এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে থাকা তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী।
টেলিফোনে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা অশান্তি করতে আসিনি। মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা তাই দেখতে এসেছিলাম। শান্তিপূর্ণভাবে যেতে চাইলেও বিমানবন্দরে আটকানো হলো।’ তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ‘আসামের পর উত্তরপ্রদেশে আটকাচ্ছে। এরা সত্যটা জানতে দিতে চায় না।’
গত তিনদিনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে উত্তরপ্রদেশে ১৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। তাদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে দেখা করতে দলীয় সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দলকে সেখানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল শনিবার সে সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয় তৃণমূলের পক্ষ থেকে।
কিন্তু ওই প্রতিনিধি দলকে রাজ্যে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে রোববার সকালে জানিয়ে দেন রাজ্যের ডিজিপি ও পি সিং। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি বলেন, ‘তৃণমূল-কংগ্রেসের কিছু নেতা এখানে আসতে চাইছেন বলে জানতে পেরেছি। এই মুহূর্তে ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তাই উত্তেজনা বাড়ার শঙ্কায় তাদের অনুমতি দেয়া হবে না।’
গত কয়েক দিনে বিক্ষোভ চরম আকার ধারণ করেছে উত্তরপ্রদেশে। সেখানে দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে হয়েছে সাধারণ মানুষের। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়েছে সর্বত্র। জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে বহু যানবাহন। বিক্ষোভ রুখতে পুলিশের বিরুদ্ধে পাল্টা গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসন তা অস্বীকার করছে।
এসএ/এমএস