নাগরিকত্ব আইনে ভারতের হাজারও শিক্ষাবিদের সমর্থন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:৫৪ পিএম, ২২ ডিসেম্বর ২০১৯

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠেছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্য। এর মধ্যেই দেশটির
এই বিতর্কিত আইনের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন দেশটির শিক্ষাবিদ, পন্ডিত এবং গবেষকরা। এক হাজারের বেশি বিশিষ্ট নাগরিক এই আইনের প্রতি তাদের সমর্থন জ্ঞাপন করেছেন। খবর এনডিটিভির।

প্রতিবেশী তিনদেশের অমুসলিমদের নাগরিকত্ব দিতেই এই আইন করা হয়েছে। ২০১৫ সালের আগে পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও বাংলাদেশ থেকে যেসব অমুসলিম নিজেদের দেশ ছেড়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন তাদের নাগরিকত্ব দেয়া হবে এই আইনের আওতায়।

নরেন্দ্র মোদি সরকারের আনা এই নতুন আইনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিরা একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তারা মোদি সরকারের প্রশংসা করেছেন। এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এই আইন প্রতিবেশী পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে আসা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ করবে।

জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রমদ কুমার, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক স্বপন দাসগুপ্ত এবং কাঞ্চন গুপ্ত, নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর সুনয়না সিং ওই বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন।

ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, বিস্মৃত সংখ্যালঘুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য ভারতের সংসদ ও সরকারকে অভিনন্দন। ভারতীয় সভ্যতার প্রাচীন রীতিকে এই সিদ্ধান্ত আরও সমৃদ্ধ করবে। যারা ধর্মীয় কারণে বাস্তুহারা তাদের আশ্রয়ের ব্যবস্থা করবে। ওই বিবৃতিতে মোট ১১শ মানুষ স্বাক্ষর করেছেন। এদের মধ্যে অধিকাংশই শিক্ষাবিদ, গবেষক ও পন্ডিত।

এদিকে গত সপ্তাহে ভারতের সংসদের উভয় কক্ষে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের পর রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ বিলটিতে স্বাক্ষরের পর তা আইনে পরিণত হয়। এরপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আসাম, ত্রিপুরা, পশ্চিমবঙ্গ। তারপরেই দিল্লি, উত্তরপ্রদেশসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ ও সংঘাত ছড়িয়ে পড়ে।

ভারতের বিভিন্ন স্থানে সংঘাতে এখন পর্যন্ত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। অপরদিকে, শুধুমাত্র উত্তরপ্রদেশেই গত কয়েকদিনে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। কংগ্রেস এবং অন্যান্য বিরোধী দলের অভিযোগ, নতুন এই আইনের মাধ্যমে ধর্মীয় বৈষম্য এবং বিভেদ তৈরির চেষ্টা করছে সরকার।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।