প্রমাণ পেলে মৌসুমী হামিদকে বয়কট করা হবে
ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দায় এসে প্রশংসা পেয়েছেন লাক্স সুন্দরী মৌসুমী হামিদ। তবে শুরুতেই নিজেকে বিতর্কে জড়িয়ে ফেললেন এই অভিনেত্রী। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র নৃত্য পরিচালক সমিতিতে মৌসুমীর বেফাঁস এক মন্তব্য নিয়ে দারুণ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
বলা হচ্ছে, ওই মন্তব্যের উপযুক্ত প্রমাণ পেলে মৌসুমীকে বয়কটের ডাক দিবেন তারা। প্রয়োজনে আন্দোলনেও নামতে প্রস্তুত সংগঠনের নেতা কর্মীরা।
জানা যায়, ঈদের আগে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাতকারে মৌসুমী হামিদ বাংলাদেশের নৃত্য পরিচালকদেরকে নিয়ে নানা রকম আপমানজনক মন্তব্য করেন। তিনি ভারতের নৃত্য পরিচালক ও কোরিওগ্রাফারদের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হলেও তাচ্ছিল্য করেন নিজ দেশের পরিচালকদেন। এই জের ধরেই ক্ষোভ বিরাজ করছে ইন্ড্রাষ্ট্রির নৃত্য পরিচালক সমিতিতে।
এ বিষয়ে নৃত্য পরিচালক সমিতির সেক্রেটারী এমদাদুল হক খোকন জাগো নিউজকে বলেন, ‘মৌসুমী হামিদ নিতান্তই নতুন শিল্পী। তার বুঝে শুনে কথা বলা উচিত। সত্যি যদি তিনি এমন কথা বলে থাকেন তবে তার জন্য তাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে হবে। নইলে তাকে আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পে নিষিদ্ধ করার সব রকম ব্যবস্থাই করা হবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা নিজেদের দেশের কিংবদন্তি সব অভিনেতা-অভিনেত্রী তো বটেই বলিউডের রেখা, জয়া প্রদা, মিঠুন চক্রবর্তীদের সাথেও কাজ করেছি। এমন বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারকে একজন নবীন কিছুতেই অবহেলা-অপমান করতে পারেন না। আমাদের নতুনরাও অনেক ভালো কাজ করছেন। সেখানে কোনো বাজে কথা কেন হজম করা হবে? আমরা মৌসুমী হামিদের নামে অভিযোগটি পেয়েছি। বর্তমানে এর প্রমাণাদি সংগ্রহের কাজ চলছে। ওই অনুষ্ঠানের ভিডিও ফুটেজটি হাতে আসলেই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবো। সেখানে মৌসুমী যদি নৃত্য পরিচালকদের অপমান করে কোনো মন্তব্য করে থাকেন তাহলে তার বিরুদ্ধে আমরা কঠোর সিদ্ধান্ত নেব। শিল্পী সমিতি ও পরিচালক সমিতির কাছে আবেদন জানাবো তাকে বয়কট করতে। নইলে আমরা কর্ম বিরতিতে যাবো। কারণ এইসব বেয়াদবির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হলে কাজের পরিবেশ নষ্ট হবে। আর সেটি হবে চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য হুমকিস্বরুপ। যার যেটুকু পাওনা তাকে সেই সম্মানটুকু দিতেই হবে।’
খোক জানালেন, ইরান নামের একজন কোরিওগ্রাফারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মৌসুমীর ওই সাক্ষাতকারের ফুটেজ আনার জন্য। দুই একদিনের মধ্যেই ফুটেজটি সমিতির হাতে এসে পৌঁছাবে। তারপর সেটি দেখেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এদিকে এ বিষয়ে জানতে মৌসুমী হামিদের ফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি রিসিভ করে অপরিচিত একজন। তিনি জানান, মৌসুমী নাটকের শুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। তাই তার কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
লাক্স সুপারস্টার হিসেবে শোবিজে যাত্রা শুরু করা মৌসুমী হামিদ চলতি বছরে নাম লিখিয়েছেন চলচ্চিত্রে। এরইমধ্যে তার ব্ল্যাকমানি ও ব্ল্যাকমেইল নামের দুটো বাণিজ্যিক ছবি মুক্তি পেয়েছে। পাশাপাশি জালালের গল্প নামের একটি বিকল্পধারার চলচ্চিত্রেও দেখা গেছে মৌসুমীর নান্দনিক অভিনয়। তার মতো একজন মেধাবী ও পরিশ্রমী অভিনেত্রীর কাছ থেকে কোনো বেয়াদবি মেনে নেওয়টাকে হতাশার বলে মানছেন চলচ্চিত্রবোদ্ধারা।
এলএ