চীনের সাহায্য নেবে নেপাল


প্রকাশিত: ০১:২৩ পিএম, ০১ অক্টোবর ২০১৫

নতুন সংবিধান কার্যকরের পর প্রতিবেশি ভারত অার্থিক অবরোধ আরোপ করেছে বলে অভিযোগ করেছে নেপাল। বুধবার নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী বামদেব গৌতম বলেন, তার সরকার এখন স্থলপথে চীন থেকে অত্যাবশ্যকীয় পণ্য আনার চেষ্টা চালাবে। আকাশ ও সমুদ্রপথে এই উদ্যোগ চলবে।

গৌতম বলেন, নেপালের তিনটি প্রধান দল প্রধানমন্ত্রী সুশীল কৈরালাকে প্রস্তাব দিয়েছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে নেপালের সমস্যা জানাতে বিশেষ দূত পাঠানো হোক।

নেপালের উপ-প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতকে বোঝানো হবে নেপালে তাদের রফতানি ব্যাহত হচ্ছে। আর এতে কাজ না হলে চীনের উপরেই নির্ভর করতে হবে। একইসঙ্গে চীনের মাধ্যমেই অন্যান্য দেশ থেকে জোগানের ব্যবস্থা করা হবে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর নেপালের নতুন সংবিধান পার্লামেন্টে গৃহীত হওয়ার পর থেকে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চালাচ্ছে তরাই অঞ্চলের মদেশি ও থারু সম্প্রদায়। ভারত সরকারও নেপালকে তাদের নতুন সংবিধানে অন্তত সাতটি জায়গায় সংশোধনী আনার পরামর্শ দিয়েছে।

এর ফলে ভারত -নেপাল সীমান্তের বেশ কিছু জায়গায় আটকে পড়েছে নেপাল অভিমুখী পণ্যবাহী ট্রাক। নেপালের প্রয়োজনীয় পণ্যের শতকরা ৭০ ভাগ আসে ভারত থেকেই।

বুধবার কাঠমান্ডুতে এক সংবাদ সম্মেলনে ভারতের রাষ্ট্রদূত রঞ্জিত রায় জানান নেপালের উপর ভারত কোনো `আর্থিক অবরোধ` অারোপ করেনি। এর পাশাপাশি নেপালে ক্রমবর্ধমান ভারত-বিরোধী বিক্ষোভ, মোদির কুশপুত্তলিকা ওভারতের জাতীয় পতাকা পোড়ানো নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে তিনি বলেন, এতে কোনো দেশেরই উপকার হবে না।

এসআইএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।