রোহিঙ্গা গণহত্যা : হেগে বিচার শুরু

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৪:১৭ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০১৯

সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর গণহত্যা চালানোর দায়ে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) দায়েরকৃত মামলার শুনানি শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার নেদারল্যান্ডসের রাজধানী দ্য হেগে রোহিঙ্গা গণহত্যার এ বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়। দেশের হয়ে আইনি লড়াই চালাতে আদালতে উপস্থিত আছেন মিয়ানমারের ডি ফ্যাক্টো নেত্রী অং সান সু চি।

এদিকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা চালানোর দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর দিন মঙ্গলবার মিয়ানমারে সু চির সমর্থনে সমাবেশ করেছে হাজার হাজার মানুষ।

গত নভেম্বরে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘনের অভিযোগ এনে হেগের আদালতে মামলা করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আন্তর্জাতিক এই আদালতে গণহত্যার দায়ে তৃতীয় মামলা এটি।

suchi

মঙ্গলবার শুনানির শুরুতে এ মামলার প্রধান বিচারপতি আব্দুল কাই আহমেদ ইউসুফ অভিযোগ পড়ে শোনান। সোমালীয় বংশোদ্ভূত এই বিচারপতি পরে গাম্বিয়া ও মিয়ানমারের পক্ষে একজন করে অ্যাডহক বিচারক নিয়োগ দেন। দুই অ্যাডহক বিচারপতি গাম্বিয়ার নাভি পিল্লাই এবং মিয়ানমারের প্রফেসর ক্লাউস ক্রেস। তারা মামলার বিচারপ্রক্রিয়ার শুরুতে শপথ নিয়েছেন।

বিচারকরা আন্তর্জাতিক এই মামলার পুরো সময়ে যাতে সততার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেন; সেকথা শুরুতেই স্মরণ করিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি ইউসুফ। আন্তর্জাতিক আদালতের এ বিচারপ্রক্রিয়ায় নিযুক্ত রয়েছেন ১৭ সদস্যের বিচারকের একটি প্যানেল। মিয়ানমারের এই বিরোধকে বাড়িয়ে তুলতে পারে এমন কোনো পদক্ষেপ যাতে দেশটি না নেয়; সেজন্য ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানিয়েছে গাম্বিয়া।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরুদ্ধে রক্তাক্ত সামরিক অভিযান শুরু করে দেশটির সেনাবাহিনী। সামরিক বাহিনীর জ্বালাও-পোড়াও, খুন, ধর্ষণের মুখে ৭ লাখ ৩০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশে পালিয়ে আসে। জাতিসংঘ মিয়ানমার সামরিক বাহিনী এ অভিযান গণহত্যার অভিপ্রায়ে পরিচালনা করেছে বলে মন্তব্য করেছে।

সূত্র: রয়টার্স।

এসআইএস/জেআইএম

টাইমলাইন  

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।