শিল্পবর্জ্যের দূষণ রোধে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিচ্ছে বাংলাদেশ


প্রকাশিত: ০৯:৫৪ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫

বাংলাদেশ শিল্পবর্জ্যের দূষণ থেকে পানি ও প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু।

বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সদর দফতরে ‘আর্থ-সামাজিক বৈষম্যের মূলোৎপাটন এবং সকলের জন্য স্থায়ীভাবে নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন, পানি ও পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক ফোরামে প্যানেল আলোচনায় শিল্পমন্ত্রী এ কথা জানান।

জাতিসংঘের ৭০তম সাধারণ অধিবেশনের সাইড লাইনে দক্ষিণ আফ্রিকা, নেদারল্যান্ডস, হাঙ্গেরি এবং বাংলাদেশ যৌথভাবে এর আয়োজন করে।  জাতিসংঘের পানি ও পয়:নিষ্কাশন বিষয়ক সংস্থা ইউএন ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল, ওয়াটার এইড, ইউনিসেফ এবং উইম্যান ফর ওয়াটার পার্টনারশীপ এটি আয়োজনে সহায়তা করে।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে পরিবেশ দূষণরোধ, সুপেয় পানির সংস্থান, নিরাপদ পয়:নিষ্কাশন, পরিচ্ছন্নতা ও নারী স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নসহ বিভিন্ন খাতে একটি সমন্বিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে সরকারি বেসরকারিখাত ও সুশীল সমাজের সম্মিলিত অংশগ্রহণে কাজ করার কৌশল গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

শিল্পমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেস্টনি জোরদারের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন, উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন ও শিল্প-কারখানায় উৎপাদনশীলতা বাড়াতে বেশ কিছু মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। তিনি সুপেয় পানি ও নিরাপদ প্রাকৃতিক পরিবেশ বিষয়ক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে বিশ্বের উন্নত ও উন্নয়নশীল নির্বিশেষে সকল রাষ্ট্রকে ঐকবদ্ধ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।

টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শুধুমাত্র দারিদ্র্য বিমোচনের ওপর নয়, বিশ্বব্যাপী সকল মানুষের সম্মানজনক জীবনযাত্রার নিশ্চয়তা বিধানের ওপর নির্ভর করে বলে মন্তব্য করেন শিল্পমন্ত্রী।

ঘানার সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এ কফুর এর সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচনার সঞ্চালক ছিলেন স্যানিটেশন অ্যান্ড ওয়াটার ফর অল পার্টনারশীপের নির্বাহি সভাপতি মিজ. ক্যাটারিনা ডি আলবুকিউ। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন নেদারল্যান্ড সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উন্নয়ন সহায়তা বিভাগের মহাপরিচালক ক্রিস্টিনা রেবারজেন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন বিষয়ক মন্ত্রী নমভুলা মকোনি, জাতিসংঘের নীতি সমন্বয় ও আন্তঃসংস্থা বিষয়ক সহকারী মহাসচিব থমাস গ্যাস, হাঙ্গেরির পররাষ্ট্র ও বাণিজ্য বিষয়ক উপমন্ত্রী আদম জলটাম কোভাক, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের মহাপরিচালক মিজ. জেনিনিফার সারা, ইউনিসেফের উপনির্বাহী পরিচালক ফাতাউমাতা নাদিয়া আলোচনায় অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য বিশ্বব্যাপী নিরাপদ ও সবুজ শিল্পায়ন জরুরি। শিল্পবর্জ্য থেকে পানি দূষণরোধ এবং নারী জনগোষ্ঠিসহ সকলের জন্য নিরাপদ পানির সংস্থান এক্ষেত্রে একটি বড় চ্যালেঞ্জ। তারা এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শিল্প কারখানায় সবুজ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিদ দেন। তারা নিরাপদ পানি সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও আর্থিক সহায়তা বাড়াতে উন্নত দেশগুলোর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

এসআই/এআরএস/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।