‘ধর্ষণের সময় ধর্ষককে কনডম দিয়ে সহায়তা করা উচিত নারীদের’
হায়দরাবাদের ২৭ বছর বয়সী এক পশু চিকিৎসক তরুণীকে ধর্ষণের পর পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় যখন ভারতজুড়ে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে; তখন দেশটির এক চলচ্চিত্র নির্মাতা ধর্ষণ নিয়ে নারীদের বিতর্কিত পরামর্শ দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন।
তেলেগু চলচ্চিত্র নির্মাতা ড্যানিয়েল শ্রাবণ ধর্ষণের সময় প্রাণ বাঁচাতে নারীদের বিস্মিত হওয়ার মতো এক পরামর্শ দিয়েছেন। সামাজিকে যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, যৌন নিপীড়নের মুখোমুখি হওয়ার সময় নারীদের উচিত ধর্ষককে কনডম দেয়া এবং প্রতিরোধ কিংবা পুলিশকে ডাকা কিংবা কারও কাছে সহায়তা চাওয়ার পরিবর্তে ধর্ষকের কাজে সহযোগিতা করা।
এমন পরামর্শ দিয়েই থেমে থাকেননি ড্যানিয়েল। তার দাবি, নারীরা খুন হন ধর্ষণের পরই, কারণ তারা ধর্ষণে বাধা দেন। ৩৩ বছর বয়সী এই চলচ্চিত্র নির্মাতার যুক্তি, সরকার এবং দেশের প্রচলিত আইনে যদি ধর্ষণের জন্য অপরাধীকে অব্যাহতি দেয়; তাহলে ধর্ষকরা ভুক্তভোগী নারীকে হত্যার চিন্তা করবে না।
ড্যানিয়েল বলেন, ধর্ষণ গুরুতর কোনো বিষয় নয়; কিন্তু খুন ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ। সহিংসতা ছাড়া ধর্ষণকে আইনি সম্মতি ধর্ষিতাকে খুন হওয়া থেকে বাঁচানোর একমাত্র পথ।
বিতর্কিত এই পরামর্শের জন্য ফেসবুকের ব্যবহারকারীরা শ্রাবণের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন। একজনের সমালোচনার পাল্টা জবাবে তেলেগু চলচ্চিত্রের এই নির্মাতা বলেন, যদি এসব শুকর ছানা ধর্ষকের প্রস্তাবে সম্মতি না জানায়, তাহলে তাদের ধর্ষিত হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না।
তীব্র সমালোচনার মুখে ধর্ষণ নিয়ে ফেসবুকে দেয়া কয়েকটি পোস্টের সবগুলোই ডিলিট করেছেন ড্যানিয়েল। আপত্তিকর এক বিবৃতি দিয়ে ফেসবুকে ক্ষমা চেয়েছেন তিনি।
ড্যানিয়েলের দাবি, তার নির্দেশনায় পরবর্তী একটি চলচ্চিত্রে একজন খলনায়কের জন্য এসব কথোপকথন লিখেছেন এবং সেটা মানুষ ভুলভাবে নিয়েছে। এই বিবৃতিকে তার মন্তব্য হিসেবে নিতে নিষেধ করেছেন তিনি।
সূত্র : ইয়াহু নিউজ।
এসআইএস/পিআর