দাম বেশি চাওয়ায় সবজি বিক্রেতাকে পিটিয়ে হত্যা
দোকানে বসে সবজি বিক্রি করছিলেন বিক্রেতা। দুই ব্যক্তি এসে সবজির দাম জিজ্ঞাসা করেন। দাম বলেন বিক্রেতা। কিন্তু সেই দাম ‘বেশি’ মনে হওয়ায় বিক্রেতার সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করেন ওই দু’জন। বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে সবজি বিক্রেতাকে এলোপাতাড়ি মারতে থাকেন তারা। বেধড়ক মারপিটে মারা যান ওই সবজি বিক্রেতা। সোমবার এ ঘটনা ঘটেছে ভারতের মুম্বাইয়ের মানখুর্দ এলাকায়।
মুম্বাই পুলিশ বলছে, সবজি বিক্রেতা খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত ওই দুই যুবকের নাম অভিজিৎ ধুমাল ও সাহিল কারাদে। তারা দু’জনই মানখুর্দের বাসিন্দা। তাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গের বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, পিটুনিতে নিহত ওই সবজি বিক্রেতার নাম রাম খিলান যাদব। তার বয়স ৩০ বছর। মানখুর্দ রেলস্টেশনের কাছে তার সবজির দোকান রয়েছে। সোমবার সেখানে সবজি কিনতে আসেন অভিজিৎ ও সাহিল। কিন্তু মটরসুঁটির দাম ১০০ টাকা কেজি শুনেই রেগে যান তারা। দাম নিয়ে যাদবের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় শুরু হয় দু’জনের। অভিজিৎ ও সাহিল প্রথমে কিলঘুষি মারতে থাকেন। পরে তাকে এলোপাতাড়ি ঘুষি-লাথি মারা হয়। বেল্ট দিয়েও মারা হয় বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ সময় সেখানে লোকজন জড়ো হয়ে যায়। মারধরের এক পর্যায়ে পালিয়ে যায় ওই দুই ক্রেতা। স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেন; ফোন করেন অ্যাম্বুলেন্সে। ওই সবজি বিক্রেতাকে রাজাওয়ারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
হাসপাতালের এক চিকিৎসক বলেন, ‘মারধরের জেরে ওই ব্যক্তির পাকস্থলীসহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রতঙ্গে গুরুতর জখমের চিহ্ন পাওয়া গেছে।’ ময়নাতদন্তের পর তার দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এ ঘটনার জেরে অভিজিৎ ও সাহিলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার তাদের তোলা হয় স্থানীয় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ওই দুই ক্রেতাকে পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এসআইএস/এমএস