মধুর যত গুণ
মধুর রয়েছে অসংখ্য গুণ। শরীরের ভেতর এবং বাইরে থেকে এটি সমান কাজ করে। রূপচর্চায় মধুর ব্যবহার অপরিহার্য। চলুন জেনে নিই মধুর তেমনই কিছু গুণ সম্পর্কে-
বয়স কমিয়ে তারুণ্যকে ধরে রাখতে মধুর জুড়ি নেই। মধুতে থাকা বিভিন্ন উপকারী উপাদান ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সাহায্য করে এবং ত্বক টানটান রাখে। তাই প্রতিদিন এক চামচ মধু খেতে ভুলবেন না যেন।
মধু প্রাকৃতিক এন্টি-সেপটিক হিসেবেও খুব ভালো কাজ করে। খাঁটি মধুতে রয়েছে ‘ইনহিবিন’ যা এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধকারী এজেন্ট। পোড়া বা কাটা জায়গায় মধু লাগানোর মাধ্যমে ব্যথা কমে যায় এবং এটি ক্ষত স্থান থেকে ব্যাকটেরিয়া দূর করে যার ফলে ইনফেকশন হয় না। এছাড়াও এটি খুব দ্রুত ক্ষত স্থানের কোষ গঠনে সাহায্য করে।
ময়েশ্চারাইজার হিসেবে মধু বেশ কার্যকরী। নিমিষেই এটি ত্বককে নরম ও মসৃণ করে তোলে। যাদের ত্বক শুষ্ক তারা মুখে মধু লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে ত্বক নরম ও উজ্জ্বল হবে।
মুখের দাগ দূর করতে মধু, আমণ্ড অয়েল, গুঁড়া দুধ এবং লেবুর রস পরিমাণমত মিশিয়ে ফেইস মাস্ক হিসেবে লাগান। ১০-১৫ মিনিট রেখে মুখ ধুয়ে ফেলুন। ব্রণ বা রোদে পোড়া দাগ দূর করতে এই প্যাকটি বেশ কার্যকরী।
দেহের অতিরিক্ত ওজন কমাতে সকালে খালি পেটে এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ মধু ও ২ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পান করুন। তবে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থাকলে খাবেন না বা ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করে নিবেন।
চুল সিল্কি রাখতে ও চুলের ফ্রিজি ভাব দূর করতে শ্যাম্পু করার পর কন্ডিশনারের সাথে এক চামচ মধু মিশিয়ে চুলের নিচের অংশে ভালো মতো লাগিয়ে কিছুক্ষণ পর চুল ভালো মতো ধুয়ে ফেলুন। চাইলে কন্ডিশনারের বোতলে পরিমাণমত মধু মিশিয়ে রেখে দিতে পারেন।
দুই চামচ মধু, আধা চামচ চিনি এবং কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে তৈরি করুন হানি স্ক্রাব। এই স্ক্রাবটি ২-৩ মিনিট মুখে হালকা ভাবে ম্যাসাজ করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। চিনি খুব ভালো এক্সফলিয়েটিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে, লেবু ত্বকের দাগ দূর করে এবং মধু ত্বকে পুষ্টি জুগিয়ে একে নরম ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল করে তোলে।
লিপবাম হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন মধু। এক চামচ আমণ্ড অয়েল এবং এক চামচ মধু মিশিয়ে লিপবাম পটে সংরক্ষণ করুন। এটি ঠোঁট ফাটা রোধ করে এবং ঠোঁটে গোলাপি আভা নিয়ে আসে।
এইচএন/আরআইপি