মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে : রাহুল গান্ধী

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:২১ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যে নাটকীয়ভাবে ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সরকার গঠন নিয়ে উত্তাল হয়েছে দেশটির সংসদ। প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসসহ বিরোধীদের তুমুল হট্টগোল, ওয়েলে নেমে বিক্ষোভের কারণে দফায় ব্যাহত হয়েছে লোকসভা ও রাজ্যসভার অধিবেশন।

কংগ্রেসের বিক্ষোভে উত্তেজনা ছড়ায় সংসদের বাইরেও। দলের দুই নারী সাংসদের সঙ্গে মার্শালদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগে আগামীকাল মঙ্গলবারও বিক্ষোভের ঘোষণা দিয়েছে কংগ্রেস। অন্য দিকে সোমবার তুমুল হট্টগোলের মধ্যেই লোকসভায় মহারাষ্ট্র অভূত্থানের প্রসঙ্গ টেনে কংগ্রেস রাহুল গান্ধী বলেন, সেখানে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে।

গত শনিবার নাটকীয়ভাবে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে বিজেপির দেবেন্দ্র ফডণবীস এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এনসিপির অজিত পওয়ার শপথ নেন। শপথ গ্রহণের এই প্রক্রিয়াকে অবৈধ দাবি করে সুপ্রিম কোর্টে গেছে শিবসেনা-এনসিপি-কংগ্রেস জোট।

জরুরিভিত্তিতে গতকাল রোববারও শুনানি হয়েছে শীর্ষ আদালতে। আজ সোমবার শুনানি শেষে শীর্ষ আদালতের তিন সদস্যের একটি বেঞ্চ আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১১টায় রায় ঘোষণার কথা জানিয়েছেন। এদিকে গত দুদিন অধিবেশন বন্ধ থাকার পর সোমবার অধিবেশন শুরু হতেই মহারাষ্ট্র নিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে সংসদের উভয় কক্ষ।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টায় উভয় কক্ষের অধিবেশন শুরু হয়। প্রশ্নোত্তর পর্বে রাহুল গান্ধী বক্তব্য দিতে ওঠেন। কিন্তু তিনি কোনও প্রশ্ন করেননি। মহারাষ্ট্রের প্রসঙ্গ টেনে শুধু বলেন, ‘আমি আজ এখানে প্রশ্ন করতে এসেছিলাম। কিন্তু আমার প্রশ্ন করার কোন ইচ্ছা নেই। কারণ মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রকে খুন করা হয়েছে। তাই প্রশ্ন করার কোনও অর্থই হয় না।’

তারপরই উত্তেজনার সূত্রপাত। ওয়েলে নেমে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করের কংগ্রেসের এমপিরা। অধিবেশন চলাকালীন স্পিকার ওম বিড়লা কংগ্রেসের দুজন এমপিকে মার্শাল দিয়ে বাইরে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিলে তাদের মার্শালরা তাদের বের করার চেষ্টা করলে সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে ওয়াক আউট করে কংগ্রেস।

উচ্চকক্ষ রাজ্যসভার অধিবেশনের শুরু হতেই মহারাষ্ট্র ইস্যুতে শোরগোল শুরু হয়। কংগ্রেস ছাড়াও ডিএমকে এবং আরও কয়েকটি বিরোধী দলের এমপিরা বিক্ষোভে যোগ দেন। ওয়েলে নেমে চলতে থাকে বিক্ষোভ, হইচই, আর বাগবিতণ্ডা। ফলে দুপুর দুইটা পর্যন্ত অধিবেশন মুলতুবি করে দেন চেয়ারম্যান বেঙ্কাইয়া নাইডু।

সংসদের উত্তাপ বাইরেও এসেছে। লোকসভায় দুই সাংসদকে স্পিকারের বের করে দেয়ার নির্দেশ দেয়ার পর মার্শালরা ভেতরে ঢুকে দলের দুই নারী সাংসদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন এমন অভিযোগ ছাড়াও মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে অভিহিত করে সংসদ ভবন চত্বরে ব্যানার হাতে বিক্ষোভে শুরু করেন কংগ্রেস সাংসদরা।

লোকসভা ও রাজ্যসভার কংগ্রেস দলীয় সাংসদরা ‘গণতন্ত্রের হত্যা বন্ধ হোক’ লেখা ব্যানার ও স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের নেতৃত্বে ছিলেন সোনিয়া গান্ধী। নারী সাংসদদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের কথা স্পিকারকে জানিয়ে আসেন তিনি। পাশাপাশি আগামীকালও মহারাষ্ট্র এবং দুর্ব্যবহার ইস্যুতে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছে কংগ্রেস।

এসএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।