অভাবের তাড়নায় এক পরিবারের ৪ সদস্যের আত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৩:১১ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০১৯

বেকারত্ব এবং বেসরকারি ঋণসংস্থার ঋণ পরিশোধের চাপে ভারতের ত্রিপুরা প্রদেশের এক পরিচারের চার সদস্য একসঙ্গে আত্মহত্যা করেছেন। দীর্ঘদিন ধরে কাজ না পাওয়ায় ওই পরিবারটি একটি বেসরকারি সংস্থার কাছে চড়া সুদে ঋণ নিয়েছিলেন। সেটি পরিশোধ করতে ব্যর্থ এবং কর্মহীন হয়ে পড়ায় তারা নির্মম এই পথ বেছে নিয়েছেন বলে স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

কলকাতার বাংলা দৈনিক আনন্দবাজার বলছে, ত্রিপুরা পশ্চিম জেলার পূর্ব চানপুর এডিসি ভিলেজের সন্ন্যাসীমুড়ায় এ ঘটনা ঘটেছে। পেশায় দিনমজুর পরেশ তাঁতি শনিবার বাড়ির তিন সদস্যকে নিয়ে আত্মহত্যা করেন। প্রাথমিকভাবে তাদের আত্মহত্যার পেছনে দারিদ্র ও ঋণের বোঝার কথা উঠে এসেছে।

ত্রিপুরার ক্ষমতাসীন বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার অবশ্য অভাবের তাড়নায় আত্মহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এ অবস্থায় সোমবার সন্ন্যাসীমুড়ার পরিস্থিতি সরেজমিন দেখতে যান রাজ্যের বিরোধী দলীয় নেতা মানিক সরকার, সিপিএমের দুই বিধায়ক সুদন দাস ও রতন ভৌমিক এবং স্বশাসিত জেলা পরিষদের কার্যনির্বাহী সদস্য পরীক্ষিত মুরা সিংহ।

মানিক সরকার অভিযোগ করে বলেছেন, পুরো ত্রিপুরায় অরাজকতা চলছে। কাজ ও খাদ্যের অভাব চারদিকে। এলাকার লোকজন ও পরেশ তাঁতির শাশুড়ি অঞ্জনা তাঁতির সঙ্গে কথা বলে তারা জানতে পেরেছেন, কাজ না-পাওয়ায় অনাহারের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল পরিবারে। সে কারণে চরম পথ বেছে নেয় পরেশের পরিবার।

বেসরকারি একটি সংস্থার কাছ থেকে ঋণ নিয়েছিলেন পরেশ। তা শোধ করতে না-পারার যন্ত্রণাও তাকে হতাশার দিকে ঠেলে দিয়েছে। মানিক সরকার রাজ্যে কাজ না-পেয়ে অনাহারে যাতে কারও মৃত্যু না হয়, তার জন্য কর্মসংস্থানের দিকে নজর দিতে রাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাজ্যে চড়া সুদে ঋণ দিচ্ছে যেসব সংস্থা, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ারও দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এসআইএস/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।