জুকারবার্গের সামনে কাঁদলেন মোদি
কাঁদলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রোববার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ম্যানলো পার্কে ফেসবুকের প্রধান কার্যালয়ে মার্ক জুকারবার্গের সঙ্গে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। এ সময় এক প্রশ্নের জবাবে শৈশবের স্মৃতি বর্ণণা করতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রীর চোখ ভিজে আসে।
মোদী মা হিরাবেনের ত্যাগের কথা বলতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমাদের বেড়ে ওঠার সময়ে তাকে প্রতিবেশীদের বাড়িতে থালাবাসন ধোয়া, পানি ভরাসহ বিভিন্ন কাজ করতে হয়েছে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন, নিজের সন্তানদের জন্য একজন মা কী কী করতে পারেন!
৯৫ বছর বয়সী হিরাবেন এখন গুজরাটের আহমেদাবাদে বাস করেন।
এর আগে ভারতের সংস্কারের গতি কেন বাড়ছে না এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একটা স্কুটারকে আধা সেকেন্ডে ঘোরানো যায়। ভারতের মতো বড় দেশকে ঘোরানো সময়সাপেক্ষ।
মোদি বলেন, ভারতের শক্তি হল মানবসম্পদ, গণতন্ত্র আর চাহিদা। সস্তা শ্রম, দক্ষ কর্মী আর বিরাট বাজারের সমাহারে ভারতই বিনিয়োগের সবচেয়ে বড় স্থান বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ সময় জাকারবার্গের মা-বাবাকে অভিনন্দন জানান মোদি। বলেন, আপনারা একজন গুণী ছেলের জন্ম দিয়েছেন, যিনি পুরো দুনিয়াকে ‘সংযুক্ত’ করেছেন।
মোদি তার মতো একজন ‘চা ওয়ালাকে’ প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করায় ভারতের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ভারতের ১২৫ কোটি জনগণ তাদের নেতা হিসেবে এমন একজনকে বেছে নিয়েছেন, ছোটবেলায় যিনি চা বিক্রি করতো। তিনি বলেন, বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে এটি ভারতের অনন্য অর্জন।
এর আগে গত বছর ভারতে মোদির সঙ্গে দেখা হয়েছিল জুকারবার্গের। নিজের ফেসবুক পোস্টে সেকথা লিখে কিছু দিন আগেই জুকারবার্গ বলেছিলেন, ভারতে গত বছর মোদির সঙ্গে দেখা করার সুযোগ হয়েছিল। এবার এখানে তার সঙ্গে দেখা হবে ভেবে সম্মানিত বোধ করছি।
মোদিও জুকারবার্গের মন্তব্যে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আলোচনায় আগ্রহী আমিও। অনেক কিছু নিয়ে কথা হবে। আশা করি স্মরণীয় একটা অনুষ্ঠান হবে।’ সেই ‘স্মরণীয়’ অনুষ্ঠানের জন্যই সবাইকে প্রশ্ন পাঠানোর অনুরোধ জানিয়ে রেখেছিলেন জুকারবার্গ। খোলা আকাশের নিচে সেই প্রশ্নোত্তর পর্বই অনুষ্ঠিত হল ক্যালিফোর্নিয়ার মেনলো পার্কে। অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয় ফেসবুকে।
এর আগের দিন জুকারবার্গ বলেছিলেন, ২০২০ সালের মধ্যে তিনি ইন্টারনেট সবার কাছে পৌঁছাতে চান।
সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি মোদির আগ্রহ নতুন নয়। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ডিজিটাল মঞ্চ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করেছিলেন তিনি। নিজে ফেসবুক-টুইটারে নিয়মিত লেখেন।
সিলিকন ভ্যালি ভ্রমণের অংশ হিসেবে মোদি ফেইসবুক সদরদফতরে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।
এসআইএস/পিআর