ধর্ষণ মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন অ্যাসাঞ্জ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৯:১৫ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৯

সুইডেনে দায়ের হওয়া একটি ধর্ষণ মামলা থেকে উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। ২০১০ সালে দায়ের করা ওই মামলা থেকে অ্যাসাঞ্জকে অব্যাহতি দেয়ার কথা জানিয়েছেন সুইডেনের এক কৌঁসুলি। ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান মঙ্গলবারের এক অনলাইন প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।

অ্যাসাঞ্জের ধর্ষণ মামলা আর চালানো হবে না জানিয়ে সুইডেনের সহকারী প্রধান কৌঁসুলি ইভা ম্যারি পারসন সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘আমি আপনাদেরকে আমার সিদ্ধান্তের কথা জানাচ্ছি যে, প্রাথমিক তদন্ত বন্ধ করা হলো।’ জামিন সংক্রান্ত আইন লঙ্ঘন করায় ৫০ সপ্তাহের দণ্ডপ্রাপ্ত জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ এখন লন্ডনের একটি কারাগারে রয়েছেন।

মঙ্গলবারের এই সিদ্ধান্তের আগে গত জুনে সুইডেনের একটি আদালত রুল জারি করে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে আটক বা গ্রেফতার করা যাবে না। যদি প্রথম থেকে অ্যাসাঞ্জ তারু বিরুদ্ধে ওঠা এই ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে আসছিলেন। অ্যাসাঞ্জ বলেন, তিনি কাউকে ধর্ষণ করেননি।

দুই মাস আগে ৪৮ বছর বয়সী জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে লন্ডনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে আটক করে ব্রিটিশ পুলিশ, যেখানে তিনি ২০১২ সাল থেকে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন। আটক করার পর যুক্তরাজ্যের একটি আদালত অ্যাসাঞ্জকে ৫০ সপ্তাহের কারাদণ্ড দেন। তিনি লন্ডনের বেলমার্শ কারাগারে এখন কারাবোগ করছেন।

এছাড়াও জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে প্রত্যর্পণ হওয়ার ঝুঁকিতে আছেন। মার্কিন কর্তৃপক্ষ তার বিরুদ্ধে গোপন নথি ফাঁসের অভিযোগ এনে বিচারের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হস্তান্তরের তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের এসব গোপন নথি ফাঁস করার কারণেই রাজনৈতিক আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ।

২০১০ সালের জুলাইয়ে উইকিলিকস আফগানিস্তানে মার্কিন অভিযানের প্রায় ৭০ হাজার শ্রেণিবদ্ধ (ক্লাসিফায়েড) নথি প্রকাশ করেছিল। এসব তথ্য পরে বিশ্ব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। এ ছাড়া ওই বছরের অক্টোবর নাগাদ ইরাক আক্রমণের ৪ লাখ নথি এবং যুক্তরাষ্ট্রের আড়াই লাখ কূটনৈতিক তারবার্তা প্রকাশ করে অ্যাসাঞ্জের প্রতিষ্ঠান।

এসএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।