ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের এমন মিষ্টি নাম যে কারণে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০৫:১১ পিএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৯

ক্রমশ শক্তি বাড়িয়ে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় এলাকার দিকে অগ্রসর হচ্ছে বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল। বর্তমানে দীঘা উপকূল থেকে ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়টি। বাংলাদেশ সীমান্তেরও খুব কাছাকাছি রয়েছে এটি।

তবে মারাত্মক প্রবল ও ভয়ঙ্কর এই ঘূর্ণিঝড়ের এমন সরল নাম কেন তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন উঠেছে তেমনি কারা এই নামকরণ করেছে সেটা নিয়েও আগ্রহ তৈরি হয়েছে মানুষের মধ্যে। ভয়ঙ্কর এক ঘূর্ণিঝড়ের এমন মিষ্টি নামের রহস্য জেনে নেয়া যাক তাহলে।

আগে সংখ্যা বা পরিভাষায় ঝড়ের নাম স্থির হতো ৷ পরে ঠিক হয় ঝড়ের একটা নাম দিলে তা মনে রাখতেও যেমন সহজ তেমনি গণমাধ্যমের জন্য তা ব্যবহার করা অনেকটা সুবিধার হবে। যেসব ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৯ মাইল বা তারও বেশি হতো সেই থেকে সেসব ঝড়েরর নামকরণের প্রথা শুরু।

বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে প্রস্তাবিত ঝড়ের নামের তালিকা সংগ্রহ করে। প্রয়োজন মতো এসব নাম থেকে যেকোনো একটিকে বেঁছে নেয়া হয়। তবে বেশিরভাগ সময় নামগুলো আগে থেকেই ঠিক করা হবে। যেমন বুলবুলের পরবর্তী ঝড়গুলোর নাম কী হবে তাও ঠিক করে রেখেছে সংস্থাটি।

ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে যেসব ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় সেগুলোর নামকরণের ক্ষেত্রে মহাসাগরের এই এলাকার দেশগুলোর কাছ থেকে যেসব ঝড়ের তালিকা নেয়া হয় সেগুলো থেকেই ঝড়ের নামকরণ করা হয়। ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, মালদ্বীপ, মিয়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, এবং থাইল্যান্ড এর অন্তর্ভূক্ত।

বিগত বছরগুলোতে এই আটটি দেশ আটটি করে নাম জমা দেয়। সেই ৬৪টি নামের তালিকা থেকেই বেছে নেওয়া হয় ফণী, তিতলি কিংবা আইলা। বর্তমানে তালিকার শেষ দিক থেকে নাম নেয়া হচ্ছে। ফলে এই অঞ্চলে পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম হবে পবন। নামটি শ্রীলঙ্কার দেয়া। আর বুলবুল নামটি দিয়েছে পাকিস্তান।

এসএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।