গান্ধী পরিবারের বিশেষ নিরাপত্তা বাতিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ১০:৪৯ এএম, ০৯ নভেম্বর ২০১৯

ভারতের প্রধানবিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধী পরিবারের বিশেষ সুরক্ষা বাতিল করেছে দেশটির সরকার। গান্ধী পরিবারের জন্য স্পেশাল প্রোটেকশন গ্রুপ (এসপিজি) ক্যাটেগরির নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রত্যাহার করে নিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এখন থেকে তারা এসপিজির বদলে জেড প্ল্যাস ক্যাটেগরির নিরাপত্তা পাবেন।

দেশটির সংবাদমাধ্যম বলছে, এসপিজি বাতিল হয়ে যাওয়ায় এখন গান্ধী পরিবারের নিরাপত্তার দায়িত্ব চলে গেছে দেশটির কেন্দ্রীয় আধা-সামরিক পুলিশ বাহিনীর (সিআরপিএফ) হাতে। শুক্রবার গান্ধী পরিবারের নিরাপত্তার নতুন এই সিদ্ধান্ত নেয় ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়।

এই সিদ্ধান্ত তুলে নেয়ায় এবার থেকে দেশটিতে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসপিজি নিরাপত্তা পাবেন। গত আগস্টে ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের এসপিজি নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার।

এমন সিদ্ধান্ত হতে যাচ্ছে আঁচ পেয়ে মনমোহন সিংহ গত মঙ্গলবার ক্যাবিনেট সচিবকে এক চিঠিতে আবেদন জানান, গান্ধী পরিবারের এসপিজি নিরাপত্তা যেন প্রত্যাহার করা না-হয়। চিঠিতে তিনি বলেন, অতীতে নিরাপত্তায় ফাঁকের কারণেই সাবেক প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী প্রাণ হারিয়েছিলেন। তদন্তের পর বিচারপতি জে এস বর্মা তার রিপোর্টে জানিয়েছিলেন, রাজীব-হত্যার চেষ্টা করা হতে পারে; এই তথ্য গোয়েন্দা বাহিনীর কাছে ছিল। তবুও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালার আক্ষেপ, ‘একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী চিঠি দেয়া সত্ত্বেও তার প্রাপ্তিস্বীকারটুকুও করা হয়নি। উল্টো আজ প্রতিহিংসার রাজনীতির শিকার হল গান্ধী পরিবার।’

দেশটির গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বলছে, বর্তমানে গান্ধী পরিবারের ওপর সরাসরি হামলা হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। গোয়েন্দা সংস্থার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এই সুরক্ষা প্রদানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

১৯৮৫ সালে ইন্ধিরা গান্ধী খুন হওয়ার পর ভারতে এসপিজি নিরাপত্তা ব্যবস্থা চালু করা হয়। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়া গান্ধী পরিবারের তিনজন এই নিরাপত্তা পেতেন। তবে এই সিদ্ধান্তের পর কেবল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এসপিজি নিরাপত্তা পাবেন।

এসআইএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।