রাজধানীতে আসছে কোরবানির পশুর চামড়া
ঢাকার আশপাশ ও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কেনা কোরবানির পশুর চামড়া আসতে শুরু করেছে রাজধানীতে। মধ্যরাত থেকে চামড়া বোঝাই ট্রাক ও পিকাপ ভ্যান আসতে দেখা যায়। তবে শনিবার সকাল থেকে পুরোদমে আসা এসব চামড়া বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর কয়েকটি স্থানে বসা চামড়ার অস্থায়ী বাজারে।
শুধু দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকেই নয় রাজধানীর পাড়া-মহল্লার কোরবানি দেয়া ব্যক্তিদের কাছ থেকেও কেনা কোরবানির পশুর চামড়া বিক্রির জন্য আনা হচ্ছে এসব অস্থায়ী বাজারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজধানীর সাইন্সল্যাব এবং ঢাকেশ্বরী মোড়ে ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে চামড়া কেনেন ট্যানারি এবং আড়ত মালিকরা। বেচা কেনায় হরদম দর কষাকষি চলছে বলেও জানিয়েছেন মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
বাজারে চামড়া নিয়ে আসা বেশিরভাগ মৌসুমি ব্যবসায়ীদের দাবি, লোকসানে চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে। যে দামে তারা চামড়া কিনেছেন সে দামই তুলতে পারছেন না অনেক ব্যবসায়ী।
আব্দুস সাত্তার নামে এক মৌসুমি ব্যবসায়ী জানান, ভেবেছিলাম চামড়া ব্যবসায় এবার লাভ হবে। তাই চড়া দাম দিয়ে চামড়া কিনে পাইকারি বাজারে এনেছিলাম। কিন্তু আড়তদাররা চামড়ার দাম কম দিয়ে কিনছে।
তবে ট্যানারি ও আড়তদারদের দাবি, মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বেশি দামে চামড়া কিনলেও আমরা তো আর লোকসান করে চামড়া কিনতে পারি না।
মেহের ঘোষ নামে এক আড়তদার জানান, সাইন্সল্যাবের ফড়িয়া ও মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বেশি দাম চাইছেন। তবে ভালো মানের চামড়া অনেকক্ষেত্রে বেশি দামেই কিনতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২৩ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদার গুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন এবং বাংলাদেশ ট্যানার্স অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে কোরবানি পশুর চামড়ার দাম নির্ধারণ করা হয়।
ঢাকায় লবনযুক্ত প্রতি বর্গফুট গরুর চামড়া ৫০ থেকে ৫৫ টাকা। ঢাকার বাইরে একই মানের চামড়ার দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় কেনার কথা। যদিও এই দাম ছিল গত বছরের তুলনায় গড়ে প্রায় ২০ টাকা কম।
চামড়া শিল্পের সংগঠন বিএফএলএলএফইএ’র তথ্য মতে, প্রতিবছর ৩০ কোটি বর্গফুট চামড়া (গরু ও ছাগল) ট্যানারি শিল্প সংগ্রহ করছে। এরমধ্যে ৪০ শতাংশ চামড়া সংগ্রহ করা হয় কোরবানি ঈদে।
সংগঠনটির তথ্য মতে, প্রতি বর্গফুট চামড়ার দু’ডলারে মূল্য ধরা হলে মোট দাম হবে ২৪ কোটি ডলার। দেশীয় মুদ্রায় আসে প্রায় দু’হাজার কোটি টাকা।
জেইউ/এসকেডি/পিআর