হতে পারেন জুয়েলারি ডিজাইনার
একটা সময় ছিলো স্বর্ণের কারিগরদের। তারাই ছিলেন ডিজাইনারের ভূমিকায়। এখন সময় পাল্টে গেছে। চাহিদা বেড়েছে তরুণ-তরুণীদের। তাদের চাই নিত্য-নতুন ডিজাইন। চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখতে ডিজাইনারদের প্রয়োজনীয়তাও বেড়েছে। তাই আপনিও হতে পারেন জুয়েলারি ডিজাইনার।
যোগ্যতা
যে বিষয়েই পড়াশোনা করেন না কেন, তার কোনো প্রয়োজন নেই। জুয়েলারি জগতে নতুন ট্রেন্ড তৈরি করার সক্ষমতাই এই পেশায় আসার প্রয়োজনীয় দক্ষতা। তাই আপনাকে হতে হবে সৃজনশীল। তবে আঁকার উপর দখল থাকতে হবে। থাকতে হবে কল্পনাশক্তি। পাশাপাশি প্রায়োগিক শিক্ষার প্রয়োজনও রয়েছে।
প্রশিক্ষণ
মূলত জুয়েলারি তৈরির পুরো প্রক্রিয়া সম্পর্কে জ্ঞান থাকা প্রয়োজন। এছাড়া জুয়েলারি ডিজাইনার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ একাডেমির শরণাপন্ন হতে পারেন। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কম নেই রাজধানীতে।
কোর্সসমূহ
বিভিন্ন রকম সামুদ্রিক শেল বা পুঁথি, প্রেসাস বা সেমি-প্রেসাস স্টোন, আনকাট ডায়মন্ড, জেম স্টোন চেনা, কালার স্কিম, ডিজাইন থিম, কস্টিউম জুয়েলারি, জুয়েলারি কস্টিং প্রভৃতি।
কোথায় পড়বেন
শান্ত-মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েকিভ টেকনোলজি, বাসা-৮২, রোড-১৫, সেক্টর-১১, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০, ফোন : ৭৯১১১৩১, ৭৯১১১৪১।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ফ্যাশন ডিজাইন, বাসা-৬৪, রোড-১৭, ব্লক-ই, বনানী, ফোন : ৮৮১০৫৬৪, ৮৮১০৮৩৪।
নকশা কেন্দ্র, বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক), ১৩৭-১৩৮ মতিঝিল, ফোন : ৯৫৫৩১১২।
কাজের ধরন
শুধু দামি গয়নাই নয়, এখন কস্টিউম জুয়েলারির বাজারও বেশ ভালো। সোনা, রূপা, হীরা, জেম স্টোনের পাশাপাশি কস্টিউম জুয়েলারির ক্ষেত্রে মাটি, বিভিন্ন রকমের বিডস, ঝিনুক, কাঠ, টেরাকোটা, জুট ইত্যাদির উপরেও নিজের সৃজনশীলতার স্বাক্ষর রাখতে হয় জুয়েলারি ডিজাইনারদের। কম্পিউটারে বা কাগজে স্কেচ করা থেকে শুরু করে কারিগরদের দিয়ে গোটা একটা জুয়েলারি তৈরির প্রক্রিয়া তত্ত্বাবধান করতে হয়।
কাজের সুযোগ
আগে শুধু বিভিন্ন জুয়েলারি শপে ডিজাইনারদের নিয়োগ দেওয়া হলেও এখন এই পেশায় কাজের সুযোগ অনেক বেড়েছে। এখন ছোট-বড় জুয়েলারি শপের পাশাপাশি অনেক ফ্যাশন হাউজ গড়ে উঠেছে, যেখানে এসব ডিজাইনারদের কাজের সুযোগ তৈরি হয়েছে। আবার ফ্রিল্যান্সার ডিজাইনার হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে পারলেও সংশ্লিষ্ট একাধিক প্রতিষ্ঠানেই মিলবে কাজের সুযোগ।
এসইউ/পিআর