মিনায় বাংলাদেশি নিহতের সংখ্যা আরো বাড়ল
সৌদি আরবে মক্কার মিনায় শয়তানকে পাথর ছুঁড়তে গিয়ে পদদলিত হয়ে বাংলাদেশি হাজি নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০ জনে দাঁড়ালো। এর আগে নিহতের সংখ্যা ছিল ৫ জন। নিহতদের মধ্যে ছয় জন নারী।
নিহতরা হলেন, জামালপুরের ফিরোজা বেগম (৫৪), সুনামগঞ্জের হাজিপাড়া এলাকার জুলিয়া বেগম (৪৫), ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার তাহেরা বেগম (৭৩) ও তার ভাই নূর নবী মিন্টু (৬৯), একই এলাকার নূর জাহান বেগম (৫৫), মুন্সীগঞ্জ সদরের জাহানারা আরজু (৪৮), দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার সেতারা গ্রামের কুরমত আলী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গোলাম মোস্তফা এবং শরীয়তপুরের আবদুর রাজ্জাক ও হাসিনা আক্তার।
একই সময়ে মিনায় অবস্থানরত ফেনীর সোনাগাজীর আরো বেশ কয়েকজন হাজি পদদলিত হয়ে আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। হাজিদের মৃত্যুর খবরে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। আনন্দের পরিবর্তে কান্না আর হতাশার মধ্যে দিয়ে ঈদ উদ্যাপন করেছে মৃতের পরিবারগুলো। নিহত তাহেরা বেগমের বোনের ছেলে জসিম উদ্দিন শুক্রবার সন্ধ্যায় সোনাগাজীর তিন হাজির মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
মিনার ঘটনায় নিহত জুলিয়া বেগম সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নুরুল হুদা মুকুটের ছোট ভাই বদরুল হুদা মুকুলের স্ত্রী । এ ঘটনায় আহত হয়েছেন জুলিয়ার বড়বোন আফিয়া চৌধুরী। জুলিয়ার বড়ছেলে নজমুল হুদা পেশায় ব্যাংকার মেজো ছেলে ইবনুল হুদা ও ছোট ছেলে শামীমুল হুদা লেখাপড়া করছেন। জুলিয়ার লাশ সৌদি আরবে মিনায় দাফন করা হবে বলে জানান তার দেবর সুনামগঞ্জ চেম্বারের সভাপতি খায়রুল হুদা চপল।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার মক্কার অদূরে মিনায় ওই দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৭১৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরো আট শতাধিক।
এমএএস/পিআর