ভারতে চামড়া পাচারের আশঙ্কা
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের টি.এ রোডে জমে ওঠেছে কোরবানির পশুর চামড়ার অস্থায়ী হাট। এই হাটে মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা জেলার বিভিন্নস্থান থেকে পশুর চামড়া ক্রয় করে নিয়ে এসে জড়ো করছেন। আগামী দুইদিন এই হাটে চলবে চামড়া বেচা-কেনা।
চলতি বছর ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে চামড়ার দাম পূর্ব নির্ধারণ করে দেওয়ার পরও চামড়া ক্রয়ে রীতিমতো প্রতিযোগিতায় নেমেছেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। তবে চামড়ার বাজারমূল্য কম হওয়ায় অধিকাংশ চামড়া সীমান্ত দিয়ে প্রতিবেশি দেশ ভারতে পাচার হওয়ার আশঙ্কা করছেন এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা।
জানা যায়, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার চামড়ার বাজারে অধিকাংশই মৌসুমী ক্রেতা-বিক্রেতা। তাই চামড়া ব্যবসা কিংবা বাজার দর সম্পর্কে তাদের কারো তেমন ধারণা নেই। এর ফলে তীব্র প্রতিযোগিতার মুখে বুঝে না বুঝে অনেকেই জেলা শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লা থেকে ভালো দাম পাওয়ার আশায় চড়া দামে পশুর চামড়া ক্রয় করছেন। ট্যানারি মালিকরা প্রতি বর্গফুট কাঁচা চামড়ার দাম ৪০ থেকে ৪৫ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।
কয়েকজন মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীর সঙ্গে কথা হলে তারা জাগো নিউজকে জানান, ট্যানারি মালিকদের নির্ধারণ করে দেওয়া মূল্যে চামড়া বেচা-কেনা করা যাচ্ছে না। তাই প্রতিযোগিতার বাজারে চড়া দামেই চামড়া ক্রয় করেছেন তারা। তবে ক্রয়কৃত এসব চামড়ায় তাদের লাভ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কায় ভুগছেন তারা।
চামড়ার হাটে আসা কয়েকজন চামড়া ব্যবসায়ী জাগো নিউজকে জানান, ট্যানারি মালিকদের পক্ষ থেকে চামড়ার যে দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে সেই অনুযায়ী চামড়া বেচা-কেনা করলে মাঠ পর্যায়ের চামড়া ব্যবসায়ীরাই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হবেন। এর ফলে অধিকাংশ চামড়াই দেশের সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচার হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
তবে বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাতে কোনো পশুর চামড়া পাচার না হয় সে জন্য সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে নিয়মিত টহলের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
এ ব্যাপারে ১২-বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ল্যাফটেনেন্ট কর্নেল মো. নজরুল ইসলাম জাগো নিউজকে বলেন, সীমান্ত দিয়ে যেন ভারতে চামড়া পাচার না হয় সেজন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে বিজিবির নিয়মিত টহলের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
এমএএস/পিআর