মিনায় অন্তত ১ বাংলাদেশির প্রাণহানি


প্রকাশিত: ০৮:১৭ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫

মিনায় বৃহস্পতিবারের দুর্ঘটনায় জামালপুরের একজন মহিলা প্রাণ হারিয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। বাংলাদেশ দূতাবাস হতাহতদের চিহ্নিত করার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

সৌদি আরবে বাংলাদেশ দূতাবাসের হজ কাউন্সিলর এম আসাদুজ্জামান টেলিফোনে জানিয়েছেন, ৬০ বছর বয়সী বাংলাদেশি মহিলা ফিরোজা বেগম মিনায় পদদলনের ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এখন পর্যন্ত আমরা কেবল বলতে পারি যে, অনেক বাংলাদেশি এতে আহত হয়েছেন।
 
তিনি বলেন, মহিলার পুত্র মিনায় বাংলাদেশ হজ ক্যাম্পের কর্মকর্তাদের মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন। তিনি আরো বলেছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল থেকে অন্য লাশের সঙ্গে তার লাশও সরিয়ে নিয়ে গেছে।

মহিলার বাড়ি জামালপুর সদর উপজেলার হাসচান্দুয়া গ্রামে। হজ পালন করতে মহিলার পুত্র খন্দকার মাজহারুল ইসলাম তার সঙ্গে ছিলেন।

আসাদুজ্জামান বলেন, আমরা সৌদি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে হতাহতদের পরিচয় সম্পর্কে এখনও পর্যন্ত কিছু জানতে পারছি না। তারা জাতীয়তার ভিত্তিতে মৃতদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন।

এদিকে, আন্তর্জাতিক মিডিয়ার খবরে বলা হয়েছে, পদদলিত হওয়ার ঘটনায় এখনো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৭১৭ জনে দাঁড়িয়েছে। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, আহতদের অনেকের অবস্থা সঙ্কটজনক। আহত অনেক লোককে এখনও মিনায় বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

আসাদুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা মিনায় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহতদের মধ্যে বাংলাদেশিদের চিহ্নিত করার চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, আমাদের নাগরিকদের চিহ্নিত করতে মিনায় বিভিন্ন হাসপাতালে বাংলাদেশি দোভাষীরা গেছেন। আহত হাজীদের চিকিৎসায় আমাদের সহায়তা দিতে আমরা একটি হাসপাতালে একটি বাংলাদেশি মেডিকেল টিম পাঠিয়েছি।

ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সৌদি কর্তৃপক্ষ মিনায় নিহতদের চিহ্নিত করবে বলে তারা অপেক্ষায় রয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে, জাতীয়তার ভিত্তিতে সকল লাশ শনাক্ত করতে কমপক্ষে ৪৮ ঘণ্টা লেগে যেতে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া শাখার মহাপরিচালক নাজমুল ইসলাম বলেছেন, নিহতদের মধ্যে বাংলাদেশি থাকতে পারেন। আমাদের ধারণা, সকল লাশ শনাক্ত করতে সৌদি কর্তৃপক্ষের দুদিন লেগে যেতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, মক্কায় দুই সপ্তাহ আগে ক্রেন দুর্ঘটনায় নিহত ১১৭ জন হজ পালনকারীকে চিহ্নিত করতে তাদের তিন দিন সময় লেগেছিল।

সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মশি এর আগে জানিয়েছেন, তিনি অসমর্থিত খবরে জেনেছেন যে, বেশ কিছু বাংলাদেশি পদদলিত হওয়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন এবং মিনায় রাষ্ট্র পরিচালিত হাসপাতালে তাদের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

টেলিফোনে ঢাকায় আলাপকালে তিনি জানিয়েছেন, আমাদের ফার্স্ট সেক্রেটারি এবং দূতাবাসের কয়েকজন কর্মকর্তা হাসপাতালের প্রবেশ মুখে অবস্থান করছেন। বিস্তারিত জানার জন্য এখনো কেউ ভিতরে যাওয়ার সুযোগ পাননি। আমি এখন সেখানে যাচ্ছি এবং আমাকে তারা হাসপাতালের ভিতরে যাওয়ার সুযোগ দিবে বলে আশা করছি।

মিনায় বাংলাদেশের অস্থায়ী হজ ক্যাম্পের দুটি ফোন নম্বর হচ্ছে - +৯৬৬৫৩৭৩৭৫৮৫৯ এবং +৯৬৬৫০৯৩৬০০৮২।

একে

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।