ভারতের সমুদ্রসীমায় ঢুকছে চীনা রণতরী : মার্কিন নৌবাহিনী
মার্কিন নৌবাহিনীর প্রশান্ত মহাসাগরীয় বহরের কমান্ডার বলেছেন, চীনের একটি বিমানবাহী রণতরি ভারতের সমুদ্রসীমায় প্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। নিকট ভবিষ্যতে তাদের এ নিয়ে হয়তো কোনো পরিকল্পনা আছে। মার্কিন ওই কমান্ডার ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চল পর্যবেক্ষণেরও দায়িত্বে আছেন।
বিশ্বের মধ্যে সর্বপ্রথম এত দ্রুততম সময়ের মধ্যে চীন যুদ্ধজাহাজ নির্মাণ করছে কেন, ভারতীয় টেলিভিশন এনডিটিভির এমন প্রশ্নের জবাবে মার্কিন কমান্ডার অ্যাডমিরাল জন আকুইলিনো বলেন, ‘আমি আশঙ্কা করছি তারা বিমানবাহী রণতরি শিগগিরই মোতায়েন করবে। এ নিয়ে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’
যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের মধ্যে সামরিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় সকরতে নয়াদিল্লি সফর করছেন মার্কিন নৌবাহিনীর ওই কমান্ডার। সফরে বিভিন্ন সামরিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের ফাঁকে এনডিটিভির করা বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন যুক্তরাষ্ট্রের ওই শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা।
চীন ইতিমধ্যেই হর্ন অব আফ্রিকা খ্যাত জিবুতিতে তাদের পূর্নাঙ্গ সামরিক ঘাঁটির কার্যক্রম শুরু করেছে। সেখানে তারা প্রতিনিয়ত ডেস্ট্রয়ার ও ফ্রিগেট এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ছাড়াও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম মোতায়েন করছে।
চীন সম্প্রতি যেসব যুদ্ধজাহাজ তৈরি করেছে যেমন ৫২ডি ডেস্ট্রয়ার এবং ৫৪ ফ্রিগেট, এসবে তারা জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী অস্ত্র সরঞ্জাম দিয়ে পূর্ণ। যার অনেকগুলো পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীসহ ওই অঞ্চলজুড়ে প্রসারিত করা হচ্ছে।
অ্যাডমিরাল আকুইলিনো বলেন, ‘চীনের ক্রমাগত এসব সামরিকায়নের প্রকিয়া শান্তি ও স্বাধীনতাকামী দেশের জন্য একটি বড় হুমকি হয়ে দেখা দিয়েছে। আমি তাদের এই রণতরি মোতায়েনকে শেষ বলে ভাবচি না। কেননা তারা এটা করেই যাবে।’
মার্কিন ওই কমান্ডার বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌবহরের দায়িত্বে রয়েছেন। মোট ১০০ মিলিয়ন বর্গমাইল এলাকায় তার নেতৃত্বে আছে। যা গোটা বিশ্বের মোট আয়তনের প্রায় অর্ধেক। তার বহরে মোট ২০০টি রণতরি, ১ হাজার ২০০ যুদ্ধবিমান এবং ১ লাখ ৩০ হাজার সেনা রয়েছে।
এসএ/পিআর