কাশ্মীর ইস্যুতে ভারতের পক্ষ নিলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা : পাক মন্ত্রী
‘কাশ্মীর ইস্যুতে কোনো দেশ ভারতকে সমর্থন জানালে সেই দেশে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়বে পাকিস্তান। একই সঙ্গে সেই দেশ ইসলামাবাদের শত্রু হিসেবে বিবেচিত হবে।’ মঙ্গলবার এমন মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের গিলগিট ও বাল্তিস্তানবিষয়ক মন্ত্রী আলি আমিন গাঁদাপুর।
এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে পাক এই মন্ত্রী বলেন, কাশ্মীর ইস্যুতে যদি ভারতের সঙ্গে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়, তাহলে পাকিস্তান যুদ্ধে যেতে বাধ্য হবে। এই ইস্যুতে যেসব দেশ পাকিস্তানকে সমর্থন না জানিয়ে ভারতের পক্ষ নেবে তারা আমাদের শত্রু হিসেবে বিবেচিত হবে এবং একটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হবে ভারতে এবং যারা ভারতকে সমর্থন দেবে তাদের ওপর।
পাকিস্তানভিত্তিক সাংবাদিক নাইলা ইনায়াত এক টুইটে ওই মন্ত্রীর হুমকির ভিডিওর আংশিক শেয়ার করেছেন। পাক এই মন্ত্রী এমন এক সময় এমন হুমকি দিলেন যখন কাশ্মীর ইস্যুতে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ব্যর্থ হয়েছে। গত ৫ আগস্ট অধিকৃত কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা বাতিলের ঘটনায় ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক সীমিত করার পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
ভারত কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলকে দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করেছে। গত মাসে নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে কাশ্মীর ইস্যুতে ৫০ মিনিট ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
ওই ভাষণে ভারতের সঙ্গে পারমাণবিক যুদ্ধ শুরু হতে পারে বলে সতর্ক করে দেন তিনি। এই যুদ্ধ শুরু হলে তার প্রভাব শুধু এই অঞ্চলে সীমিত থাকবে না বলে বিশ্ব নেতাদের হুঁশিয়ারি দেন ইমরান খান।
ইমরান খান বলেন, দুটি দেশের মাঝে যদি প্রচলিত যুদ্ধও শুরু হয় তাহলে সেখানে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। প্রতিবেশির চেয়ে সাতগুণ ছোট একটি দেশ হয় আত্মসমর্পণ করবে নয়তো স্বাধীনতার জন্য লড়াই করবে।
তিনি বলেন, আমার বিশ্বাস আমরা লড়াই করবো এবং যখন একটি পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে তখনর এর ফল সীমানা ছাড়িয়ে যাবে। আমি আপনাদের সতর্ক করে দিচ্ছি। এটা কোনো হুমকি নয়, কিন্তু উদ্বেগের; আমরা কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। এই ভুল যদি হয়, তাহলে ভালো কিছুর আশা করলেও জঘন্য কিছুর জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকা উচিত।
কাশ্মীর ইস্যুকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পাকিস্তান ব্যর্থ হয়েছে বলে স্বীকার করেন ক্রিকেট তারকা থেকে প্রধানমন্ত্রী বনে যাওয়া ইমরান খান। বিশ্ব সম্প্রদায় এই ইস্যুতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়ায় তিনি হতাশ হয়েছেন বলে জানান।
সূত্র : এনডিটিভি।
এসআইএস/জেআইএম