গাবতলী আজ কর্মজীবীদের দখলে
আজ (বুধবার) কর্মদিবসের শেষ দিন। কাল থেকে ঈদের ছুটি শুরু। তাই সকাল থেকেই গাবতলী বাস টার্মিনালে দেখা গেছে কর্মজীবী মানুষদের বাড়ি ফেরার ব্যস্ততা। আজ অফিসে গেলেও অনেকেই শুধু আঙ্গুলের ছাপ কিংবা স্বাক্ষর করে চলে এসেছেন গাবতলী বাস টার্মিনালে। টার্মিনাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আজ যাত্রী সংখ্যা সবচেয়ে বেশি।
গাবতলী বাস কাউন্টারগুলোতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, টিকিট যখন অগ্রীম বিক্রি করা হয় সেদিনই বোঝা গিয়েছিল গাবতলীতে সবচেয়ে বেশি চাপ থাকবে বুধবার। আজই অফিস-আদালতের শেষ কর্মদিবস। কেউ আধা বেলা, কেউ শুধু স্বাক্ষর করেই ঈদের ছুটিতে বাড়ি যেতে চলে এসেছেন গাবতলীতে।
বাস কাউন্টার সূত্রে জানা গেছে, আজই ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। কাল থেকে আর চাপ থাকবে না। আজ সবচেয়ে বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়বে। কর্মজীবীরা ঢাকা ছাড়লে থাকবেন শুধু ব্যবসায়ীরা। ঈদের শেষ মুহূর্তের কেনাবেচা শেষ করেই ঢাকা ছাড়বেন ঘরমুখো ব্যবসায়ীরাও।
সকাল সাড়ে ৯টায় কল্যাণপুরে কথা হয় বেসরকারি স্কুল শিক্ষক পিকুল আহমেদের সঙ্গে। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ৫ মাস বাড়ি যাই না। রাতে ব্যাগ গুছিয়ে সকালেই বাসা থেকে বেড়িয়েছি। অফিসে স্বাক্ষর করে সোজা গাবতলী বাস টার্মিনালে যাচ্ছি। সকাল ১০টার একটি বাসে ঝিনাইদহ যাচ্ছেন তিনি।
সকালে অফিস যাচ্ছিলেন বগুড়ার আবু রেজুয়ান। হাতে অনেক শপিং ব্যাগও। তিনি জানান, আসলে তিনি অফিস যাচ্ছেন। জব করেন বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রে।
তিনি বলেন, সদ্য বিয়ে করেছি। একটু আগে আগে না গেলে কি চলে! তাই আধা বেলা অফিস করবো। এরপর গাবতলীতে বাসে উঠে বাসায় যাবো।
বেসরকারি চাকরিজীবী আসিফ খান বলেন, কিছুক্ষণ আগে তিনি অফিসে থেকে এসেছেন। ১২টায় বাস। যাবেন গাইবান্ধা।
শুধু রেজুয়ান কিংবা আসিফ নন আজ হাজার হাজার কর্মজীবী মানুষ ঢাকা ছাড়ছেন। গাবতলী হতে বিভিন্ন দূর পাল্লার বাস কাউন্টারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, আজকের টিকিটের জন্য মানুষের চাপ ছিল সবচেয়ে বেশি। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলে টিকিটের জন্য। তবে ঢাকা থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল, সিলেট, চট্টগ্রাম, উত্তরাঞ্চলসহ প্রতিটি রুটেই গাড়ির চাপ থাকবে বেশি।
হানিফ পরিবহনের মহাব্যবস্থাপক মোশারফ হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ঈদের ছুটির আগের দিনের টিকিট মূলত কর্মজীবীদের জন্য। কাল তো সরকারি ছুটি শুরু। তাই আজই চাপটা বেশি। অগ্রিম টিকিট বুকিং দেওয়ার সময়ই ২৩ তারিখের টিকিটের চাপ ছিল।
গাবতলী এসআর বাস কাউন্টারের ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যাত্রীরা যখন অগ্রিম টিকিট নিয়েছেন তখনই আমরা দেখেছি সবচেয়ে বেশি মানুষের চাহিদা ছিল বুধবারের টিকিটের। আমাদের বাস সংখ্যা সীমিত কিন্তু চাহিদা অনেক বেশি। তাই মন খারাপ হলেও অনেককে ফিরিয়ে দিতে হয়েছে।
এআরএস/এমএস