সায়েদাবাদে ঘরমুখো মানুষের স্রোত


প্রকাশিত: ০৫:৫৪ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫
ফাইল ছবি

ঈদে ঘরমুখো মানুষের স্রোত বাড়ছে। স্বজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে তাদের এই যাত্রায় জনস্রোতে পরিণত হয়েছে সায়েদাবাস বাস টার্মিনাল। বুধবার সকালে সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ঘুরে এরকম চিত্রই দেখা গেছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, বুধবার ভাের থেকেই নাড়ির টানে এই রুট দিয়ে বাড়িতে ছুটছেন সাধারণ মানুষ। আজ (বুধবার) অফিস শেষে সরকারি ছুটি শুরু হলেও অনেকেই অফিসে হাজিরা দিয়েই রওয়ানা করছেন নিজেদের এলাকায়।

তাসনিম সিদ্দিকী নামের একজন যাত্রী এই প্রতিবেদককে জানান, পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে সকালেই সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে এসেছেন তিনি। গাড়ি পেতে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করতে হলেও ঈদের আনন্দের কাছে সাময়িক কষ্টা খুবই নগণ্য।

এদিকে সায়েদাবাস বাস টার্মিনালে অবস্থিত বিভিন্ন কাউন্টার ঘুরে দেখা গেছে, গত কয়েকদিনের তুলনায় ঘরে ফেরা মানুষের ভীড় অনেক বেড়েছে। সকাল থেকেই বিভিন্ন কাউন্টারে যাত্রীরা ভীড় করছেন গাড়ির খোঁজ-খবর নিতে। এছাড়া বেশিরভাগ কাউন্টারে অগ্রিম টিকিট বিক্রি না হওয়ায় কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে কাঙ্খিত টিকিট পেয়ে বাড়িতে রওয়ানা করছেন তারা। তবে টিকিটের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি টাকা নিলেও ক্ষোভ নেই কারো মনে। কারণ একটাই -তবুও স্বজনের দেখা পাওয়া যাবে।

হানিক কাউন্টারের একজন কর্মকর্তা জাগো নিউজকে বলেন, আজ (বুধবার) যাত্রীদের ভীড় অনেক বেড়ে গেছে। যাত্রীদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে ঈদের আগ থেকেই তাদের প্রস্তুতি ছিল।

কুমিল্লাগামী তিশা পরিবহনের টিকিট বিক্রেতা জলিল জানান, ঈদকে কেন্দ্র করে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টাই সার্ভিস দিচ্ছেন তারা। অগ্রিম টিকিট বিক্রি না হলেও উপস্থিত যাত্রীদের নিয়েই যথাসময়ে রওয়ানা করছেন তারা।

এমএম/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।