রূপগঞ্জে জমে ওঠেছে কোরবানি পশুর হাট


প্রকাশিত: ০৪:০১ এএম, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৫

পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে জমে ওঠেছে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কোরবানির পশুর হাট। হাটের যে দিকে চোখ যায় সে দিকেই গরু আর গরু। তবে বাজারে পর্যাপ্ত দেশি গরু, ছাগল ও মহিষ থাকলেও বিক্রেতারা বেশি দাম হাঁকছেন বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। স্বাভাবিক বাজার দরের তুলানায় প্রতিটি গরু ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে বলে জানান তারা।

উপজলার শিমুলীয়া হাটে আসা গরু খামারি মিলন মিয়া জানান, গত বছর কোরবানির পর তিনি ২৮টি গরু গড়ে ২৫-২৬ হাজার টাকা দরে কিনে রাখেন। এক বছরে সেগুলো লালন-পালনে ব্যয় হয়েছে গড়ে আরো ২৫ হাজার টাকা। এরসঙ্গে যোগ হবে পরিবহনসহ আনুষঙ্গিক খরচ। এতে প্রতিটি গরু ৬০ হাজার টাকায় নিচে বিক্রি করা সম্ভব নয়।

গোলাকান্দাইল হাটে আসা বেপারি ইউনুছ আলী এনেছেন নিজের খামারের ১১টি গরু। ইউনুছ আলী বলেন, এবার ভারতীয় গরু না থাকায় হাটের অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে। দেশি গরুর দাম তুলনামূলক ভাবে বেশি হওয়ার পড়েও বেচাকেনা জমে ওঠেছে। দাম বেশি হওয়ায় বিক্রেতারা সন্তুষ্ট হলেও ক্রেতারা পড়ছেন বিপাকে।

এবার রূপগঞ্জ উপজেলার কোথাও ইনজেকশন বা কৃত্রিম পদ্ধিতিতে গরু মোটা তাজাকরণ না করায় স্থানীয় গরুর চাহিদা বেড়েছে বলেও জানা গেছে। তারাব পৌরসভার নোয়াপাড়া হাটে গরু কিনতে আসা শিল্পপতি মহসিন ভুইয়া ও যাত্রামুড়া এলাকার কাইউম খান জানান, গত বারের তুলনায় এবার গরুর দাম অনেক বেশি। গরু আমদানি কম না হলেও গরুর মালিকরা বেশি দাম হাঁকাচ্ছেন।

রূপগঞ্জের পশুর হাটে একাধিক বেপারি ও খামারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এবার রাজধানীর পাশের রূপগঞ্জের প্রায় সব কয়টি হাটে ময়মনসিংহ, জামালপুর, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, ফরিদপুর এলাকার গরু বেশি। এছাড়া্ও দেশি খামারের বেশকিছু গরু বাজারে এসেছে।

Rupgomj

হাট পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, বিভিন্ন জেলা থেকে আসা বেশিরভাগ গরু তুলনামূলক ছোট আকারের। গরু ব্যবসায়ীরা জানান, স্থানীয় গ্রামের মাঠে-ঘাটে পালন করা গরুগুলোই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ওসি বলেন, রূপগঞ্জের গরুর হাটগুলোতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপদে বেচা-কেনার জন্য আইন-শৃংখলা বাহিনী সজাগ রয়েছে। ফলে এখানে দেদারছে (কোনো সমস্যা ছাড়াই) গরু আসছে।

তবে ক্রেতাদের অভিযোগ, এবার পশু কিনে ইজারাদারকে অতিরিক্ত টোল দিতে হচ্ছে। এক শ্রেণির দালালদের কারণে ক্রেতারা হয়রাণির শিকার হচ্ছেন। হাটগুলোতে জাল টাকার ছড়াছড়িও রয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা লোকমান হোসেন বলেন, প্রশাসনের পক্ষ হতে পশুর হাটে পর্যাপ্ত নিরাপত্তাসহ জাল টাকা সনক্তে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

মীর আব্দুল আলীম/আরএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।