ভারতীয় গ্রাম লক্ষ্য করে পাকিস্তানের হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশিত: ০১:২০ পিএম, ২০ অক্টোবর ২০১৯

সীমান্তে ভারতীয় বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে পাকিস্তানি সীমান্তরক্ষী বাহিনী। শনিবার রাতে ও রোববার সকালে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলার মানিয়ারি গ্রামে পাক রেঞ্জার্স যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভারত।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের হিরানগরের সাব ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট সুরেশ কুমার বলেন, আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাঠুয়া জেলার হিরানগর সেক্টরের মানিয়ারি গ্রামে যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে হামলা চালিয়েছে পাক রেঞ্জার্স। বেসামরিক এলাকা লক্ষ্য করে ভারী অস্ত্র দিয়ে গুলি চালানো হয়েছে এবং মর্টার শেল নিক্ষেপ করা হয়েছে।

পাকিস্তানের হামলায় মানিয়ারি গ্রামে একজন দগ্ধ হয়েছে। তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তার পরিবারের লোকজন একটি বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছে। ওই গ্রামের লোকজনকে প্রায়ই এমন গোলাগুলির সম্মুখীন হতে হয়। স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ যে বড় ধরনের কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

তিনি আরও বলেন, আমরা ভাগ্যবান হামলার সময় শিশুরা ভেতরে ছিল না। পাকিস্তানকে এর যোগ্য জবাব দিতে আমরা প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করছি। পাকিস্তানের হামলায় ইতোমধ্যেই আমাদের অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

ওই বাসিন্দা বলেন, এখানে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে গোলাগুলি শুরু হয় আর পরদিন সকাল পর্যন্ত তা চলতে থাকে। আমরা আমাদের সন্তানদের নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কিছু করা উচিত।

এদিকে, পাক অধিকৃত জম্মু-কাশ্মীরের ভেতরে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় হামলা শুরু করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সীমান্ত লঙ্ঘন করে পাক সেনাবাহিনীর ছোড়া গুলিতে ভারতীয় সেনাবাহিনীর দুই সদস্যের প্রাণহানির প্রতিশোধে রোববার সকালের দিকে এই হামলা চালায় ভারত। এতে পাকিস্তানে ব্যাপক হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই বলছে, আজাদ কাশ্মীর থেকে ভারতীয় ভূখণ্ডে সন্ত্রাসীরা অনুপ্রবেশের সক্রিয় চেষ্টা করেছে। পরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরা পাক অধিকৃত কাশ্মীরের তাঙধর সেক্টরে আর্টিলারি গোলাবারুদ নিক্ষেপ করেছে।

টিটিএন/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।